ঢাকা ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

ছায়া কমিটির বিবৃতি

কামরুলকে দেওয়া  ডিইউজে’র কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রত্যাহারের দাবি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ ৩০২ বার পড়া হয়েছে

ছায়া কমিটির বিবৃতি

নিউজ ফর জাস্টিস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সদস্যপদ বাতিলের হুমকি দিয়ে কামরুল ইসলামকে দেওয়া ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে)  কারণ দর্শানোর নোটিশ অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ডিইউজে ছায়া কমিটি। ‘সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সুনাম ক্ষুণ্ণের ‘ অভিযোগ এনে কামরুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ডিইউজে ছায়া কমিটির সভাপতি আবদুল মজিদ ও সাধারণ সম্পাদক উম্মুল ওয়ারা সুইটি এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই নোটিশের মাধ্যমে নীলনকশার নির্বাচনে নির্বাচিত কমিটির এবং তাদের পিছনে থাকা সাবেক নেতাদের একটি দুষ্ট চক্রের কর্তৃত্ব পরায়ণনীতির প্রকাশ ঘটেছে।

ডিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এর  ২৮ এপ্রিল ২০২৪.তারিখে লেখা নোটিশে বলা হয়েছে,৩ মে’র মধ্যে নোটিশের জবাব না দেওয়া হলে কামরুল ইসলামের  সদস্যপদ বাতিল হয়েছে বলে গণ্য হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সুনির্দিষ্ট নয়, অস্পষ্ট। কোথায়, কাদের আয়োজনে,  কোন আন্দোলন কর্মসূচীতে, এবং কি বলেছেন, তা উল্লেখ না করে ঢালাওভাবে সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সুনামহানির অভিযোগ আনা হয়েছে কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযোগনামা বাক্সবন্দী রেখে কারোর বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ আনা সমীচীন নয়। কারণ অভিযোগের বিষয়ে স্পষ্টভাবে না জানলে জবাব দেওয়া কঠিন। অবশ্য সদস্যপদ বাতিলই যদি প্রতিশোধপরায়ণ লক্ষ্য হয়, তাহলে এধরনের অস্পষ্ট নোটিশ সদস্যপদ বাতিলের প্রক্রিয়া অনুসরণের লোকদেখানো পদক্ষেপ হিসেবেই বিবেচিত হবে ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গঠনতন্ত্র না মেনে ডিইউজে নির্বাচনে সমান সংখ্যক ভোট পাওয়া দু’জন প্রার্থীকে সভাপতি নির্বাচন করার প্রতিবাদ করেছেন কামরুল ইসলাম। তিনি ডিইউজে ছায়া কমিটির সদস্য হিসেবে রাজপথে ওই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। এই প্রতিবাদ ডিইউজে’র মর্যাদা রক্ষার জন্য তিনি করেছেন।  আর এটিকেই ‘ সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করা’র অভিযোগ বলা হয়েছে নোটিশে।

কামরুল ইসলামের মতো ন্যায় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যুক্ত কর্মীদের এ ধরনের নোটিশ দিয়ে দমানো যাবে না উল্লেখ করে বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, কামরুল ইসলামের সদস্যপদ বাতিল করা হলে আরও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে এবং আন্দোলনের  ধারাবাহিকতায় যা কিছু ঘটবে তার দায় নিতে হবে সাজানো নাটকে নির্বাচিত তথাকথিত ডিইউজে কমিটিকে।

উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচনে দুইজন প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পান। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এ পদে আবারও ভোট হওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে নির্বাচন কমিশন ও সাবেক কয়েকজন নেতা ওই প্রার্থীকে দুই বছর মেয়াদের ডিইউজে কমিটির এক বছর করে সভাপতি ঘোষণা করে। এই অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতেই জন্ম হয় ডিইউজে ছায়া কমিটির। কামরুল ইসলাম এই কমিটির একজন সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছেন। মূলত ছায়া কমিটির নেতাদের মানসিক ভাবে দুর্বল করে দেওয়ার জন্যই ‘কারণ দর্শানোর’ নিন্দাজনক প্রক্রিয়া শুরু করেছে ডিইউজে’র বিতর্কিত কমিটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ছায়া কমিটির বিবৃতি

কামরুলকে দেওয়া  ডিইউজে’র কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রত্যাহারের দাবি

আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

সদস্যপদ বাতিলের হুমকি দিয়ে কামরুল ইসলামকে দেওয়া ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে)  কারণ দর্শানোর নোটিশ অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ডিইউজে ছায়া কমিটি। ‘সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সুনাম ক্ষুণ্ণের ‘ অভিযোগ এনে কামরুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ডিইউজে ছায়া কমিটির সভাপতি আবদুল মজিদ ও সাধারণ সম্পাদক উম্মুল ওয়ারা সুইটি এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই নোটিশের মাধ্যমে নীলনকশার নির্বাচনে নির্বাচিত কমিটির এবং তাদের পিছনে থাকা সাবেক নেতাদের একটি দুষ্ট চক্রের কর্তৃত্ব পরায়ণনীতির প্রকাশ ঘটেছে।

ডিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এর  ২৮ এপ্রিল ২০২৪.তারিখে লেখা নোটিশে বলা হয়েছে,৩ মে’র মধ্যে নোটিশের জবাব না দেওয়া হলে কামরুল ইসলামের  সদস্যপদ বাতিল হয়েছে বলে গণ্য হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সুনির্দিষ্ট নয়, অস্পষ্ট। কোথায়, কাদের আয়োজনে,  কোন আন্দোলন কর্মসূচীতে, এবং কি বলেছেন, তা উল্লেখ না করে ঢালাওভাবে সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সুনামহানির অভিযোগ আনা হয়েছে কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযোগনামা বাক্সবন্দী রেখে কারোর বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ আনা সমীচীন নয়। কারণ অভিযোগের বিষয়ে স্পষ্টভাবে না জানলে জবাব দেওয়া কঠিন। অবশ্য সদস্যপদ বাতিলই যদি প্রতিশোধপরায়ণ লক্ষ্য হয়, তাহলে এধরনের অস্পষ্ট নোটিশ সদস্যপদ বাতিলের প্রক্রিয়া অনুসরণের লোকদেখানো পদক্ষেপ হিসেবেই বিবেচিত হবে ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গঠনতন্ত্র না মেনে ডিইউজে নির্বাচনে সমান সংখ্যক ভোট পাওয়া দু’জন প্রার্থীকে সভাপতি নির্বাচন করার প্রতিবাদ করেছেন কামরুল ইসলাম। তিনি ডিইউজে ছায়া কমিটির সদস্য হিসেবে রাজপথে ওই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। এই প্রতিবাদ ডিইউজে’র মর্যাদা রক্ষার জন্য তিনি করেছেন।  আর এটিকেই ‘ সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করা’র অভিযোগ বলা হয়েছে নোটিশে।

কামরুল ইসলামের মতো ন্যায় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যুক্ত কর্মীদের এ ধরনের নোটিশ দিয়ে দমানো যাবে না উল্লেখ করে বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, কামরুল ইসলামের সদস্যপদ বাতিল করা হলে আরও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে এবং আন্দোলনের  ধারাবাহিকতায় যা কিছু ঘটবে তার দায় নিতে হবে সাজানো নাটকে নির্বাচিত তথাকথিত ডিইউজে কমিটিকে।

উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচনে দুইজন প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পান। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এ পদে আবারও ভোট হওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে নির্বাচন কমিশন ও সাবেক কয়েকজন নেতা ওই প্রার্থীকে দুই বছর মেয়াদের ডিইউজে কমিটির এক বছর করে সভাপতি ঘোষণা করে। এই অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতেই জন্ম হয় ডিইউজে ছায়া কমিটির। কামরুল ইসলাম এই কমিটির একজন সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছেন। মূলত ছায়া কমিটির নেতাদের মানসিক ভাবে দুর্বল করে দেওয়ার জন্যই ‘কারণ দর্শানোর’ নিন্দাজনক প্রক্রিয়া শুরু করেছে ডিইউজে’র বিতর্কিত কমিটি।