ঢাকা ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আশুলিয়ায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ, গুলিবিদ্ধ ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৩:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩ ৩১ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ফটো

নিউজ ফর জাস্টিস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের পালটাপালটি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও গুলিতে তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জামগড়া ছয় তলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৮টার দিকে জামগড়া ছয় তলা এলাকায় বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে খোলা থাকা ফ্যাক্টরিগুলোতে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। তবে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়ক থেকে পাশের গলির ভেতরে ঢুকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। পুলিশও তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে টিয়ারশেল ও গুলি ছোড়ে।

এ সময় পুলিশের গুলিতে আমিরুল ইসলাম নামে এক ভ্যানচালক (২৪), তাইজুল ইসলাম (২৫) ও শামীম (৩৮) গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ ভ্যানচালককে উদ্ধার করে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাইজুল ও শামীমকে অন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, সকালে শ্রমিকরা সড়কে নামার চেষ্টা করলে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।এ সময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে রাবার বুলেট ছুড়েছে। কিন্তু কাউকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়নি।

ভ্যানচালক আমিরুল জানান, সকালে একটি ট্রিপ নিয়ে জামগড়া আসলে পুলিশ ও শ্রমিকদের মাঝখানে পড়ে যান তিনি। এ সময় পুলিশের ছোড়া গুলিতে আহত হন তিনি।

গুলিতে আহত শামীম জানান, তার মা একজন পোশাক শ্রমিক। শ্রমিক-পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়ার কথা শুনে তিনি তার মাকে আনতে যান। এ সময় পুলিশের গুলিতে তিনি আহত হন।

শিল্পপুলিশ-১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ নাসের জনি বলেন, সকালে আশুলিয়ায় পোশাক কারখানা খোলার পর শ্রমিকরা হাজিরা দিয়ে কারখানা থেকে বের হয়ে রাস্তায় জড়ো হচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের সরিয়ে রাস্তা খালি করতে গেলে সংঘর্ষ শুরু হয়।

 

আরও পড়ুন:

শ্রমিক আন্দোলনে নাশকতা করলে কঠোর ব্যবস্থা

এম.নাসির/৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আশুলিয়ায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ, গুলিবিদ্ধ ৩

আপডেট সময় : ০৬:৩৩:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের পালটাপালটি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও গুলিতে তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জামগড়া ছয় তলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৮টার দিকে জামগড়া ছয় তলা এলাকায় বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে খোলা থাকা ফ্যাক্টরিগুলোতে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। তবে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়ক থেকে পাশের গলির ভেতরে ঢুকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। পুলিশও তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে টিয়ারশেল ও গুলি ছোড়ে।

এ সময় পুলিশের গুলিতে আমিরুল ইসলাম নামে এক ভ্যানচালক (২৪), তাইজুল ইসলাম (২৫) ও শামীম (৩৮) গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ ভ্যানচালককে উদ্ধার করে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাইজুল ও শামীমকে অন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, সকালে শ্রমিকরা সড়কে নামার চেষ্টা করলে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।এ সময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে রাবার বুলেট ছুড়েছে। কিন্তু কাউকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়নি।

ভ্যানচালক আমিরুল জানান, সকালে একটি ট্রিপ নিয়ে জামগড়া আসলে পুলিশ ও শ্রমিকদের মাঝখানে পড়ে যান তিনি। এ সময় পুলিশের ছোড়া গুলিতে আহত হন তিনি।

গুলিতে আহত শামীম জানান, তার মা একজন পোশাক শ্রমিক। শ্রমিক-পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়ার কথা শুনে তিনি তার মাকে আনতে যান। এ সময় পুলিশের গুলিতে তিনি আহত হন।

শিল্পপুলিশ-১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ নাসের জনি বলেন, সকালে আশুলিয়ায় পোশাক কারখানা খোলার পর শ্রমিকরা হাজিরা দিয়ে কারখানা থেকে বের হয়ে রাস্তায় জড়ো হচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের সরিয়ে রাস্তা খালি করতে গেলে সংঘর্ষ শুরু হয়।

 

আরও পড়ুন:

শ্রমিক আন্দোলনে নাশকতা করলে কঠোর ব্যবস্থা

এম.নাসির/৪