কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ
রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া সম্ভব নয়

- আপডেট সময় : ০৭:৪০:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩ ২৪ বার পড়া হয়েছে

সিরডাপ মিলনায়তনে বিচারপতি ব্যারিস্টার শেখ হাসান আরিফ বলেছেন, ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও সদিচ্ছা ছাড়া কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
আজ শনিবার (২১ অক্টোবর) সিরডাপ মিলনায়তনে বিচারপতি ব্যারিস্টার শেখ হাসান আরিফ এসব কথা বলেছেন।
ঢাকা মহানগরীর তোপখানা রোডে সিরডাপ মিলনায়তনে ‘কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন, রাজনৈতিক দল ও মিডিয়ার ভূমিকা এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক্সেস টু জাস্টিস প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন বিএইচআরএফ।
বিচারপতি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও সদিচ্ছা ছাড়া কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
শুধু আইনের কঠোরতা দিয়ে গ্যাং সংকট উত্তরণ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
এর নেপথ্যে মদদ-দাতাদের চিহ্নিত করে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।
সাথে সাথে ঢাকাসহ সারা দেশে কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান রোধে প্রশাসন, রাজনৈতিক দল, মিডিয়া, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে যুগপৎ ভূমিকা পালন করতে হবে।
গড়ে তুলতে হবে আধুনিক শিশু-কিশোরবান্ধব সংশোধন বা কারেকশন ব্যবস্থা।
গ্যাং কালচার নিয়ন্ত্রণে এর কারণ চিহ্নিত করে তা নির্মূলের ব্যবস্থা নিতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘খারাপ সংবাদ যেভাবে প্রচার পায়, ভালো সংবাদ সেভাবে প্রচার হয় না।
টিকটক, সোশ্যাল মিডিয়ায় সঠিক নজরদারীর দায়িত্ব বিটিআরসির। তারা তা করছে না।
রাজনৈতিক উঠতি নেতা পাতি নেতারা টাকা পয়সা দিয়ে কিশোরদের ব্যবহার করছে।
শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া পুলিশ, বিচারক, প্রশাসন, মিডিয়া কাউকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
বিএইচআরএফ চেয়ারপারসন মানবাধিকার নেত্রী অ্যাডভোকেট এলিনা খানের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএইচআরএফ মহাসচিব অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান, মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের শিক্ষক ও সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিসের পরিচালক প্রফেসর হাফিজুর রহমান কার্জন।
এছাড়া আরও অনেক আলোচক বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, সারা দেশে কিশোর গ্যাং কালচার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কিশোররা ব্যবহৃত হচ্ছে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অপরাধের ধরনও পাল্টে যাচ্ছে।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, চুরি-ছিনতাই থেকে শুরু করে খুনাখুনিসহ নানা অপরাধে কিশোর-তরুণরা জড়িয়ে পড়ছে।
মাদক ব্যবসা ও দখলবাজিতেও তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে।
১৭ বছরে ঢাকায় কিশোর অপরাধীদের হাতে ১২০ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে গত ২ বছরে ৩৪ জন খুন হয়েছেন।
এসব ঘটনায় চার শতাধিক কিশোরকে আসামি করা হয়েছে।
নানা অপরাধে জড়িয়ে কিশোররা ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে।
অধিকাংশ গ্যাং গড়ে ওঠার পেছনে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা মদদ দিচ্ছে।
‘হিরোইজম’ প্রকাশ করতেও পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাং গড়ে উঠছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, কিশোর গ্যাং সদস্যদের তৎপরতা রোধে শিগগিরই বড় ধরনের অভিযান চালানো হবে।
এম.নাসির/২১