গাজীপুরে নাশকতার মামলা
বিএনপির সঙ্গে ছাত্রলীগকর্মীও আসামি

- আপডেট সময় : ০৬:০৯:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৫ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে বাস ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (৬ে নভেম্বর) শ্রীপুর থানায় মামলাটি করেন তাকওয়া পরিবহনের মালিক স্বপন আহমদ।
ওই মামলার এজাহারে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় ১৩ নম্বর আসামির তালিকায় রয়েছে ছাত্রলীগের কর্মী আব্দুল্লাহ আল মামুনের (২৩) নাম। এ নিয়ে নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
জানা গেছে, আব্দুল্লাহ আল মামুন বরমী ইউনিয়নের বরমী গ্রামের মোহাম্মদ মোস্তফা কামালের ছেলে। তিনি বরমী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী।
ফেসবুক পোস্টে ছাত্রলীগকর্মী আব্দুল্লাহ আল মামুন লেখেন, ‘গত ৫ নভেম্বর সকালে সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রহমত আলীর মেয়ে ও সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য রুমানা আলী টুসি আপার সমর্থনে বরমী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফ হায়দার মৃধার নেতৃত্বে শান্তি মিছিলে অংশ নেই। এরপর বিভিন্ন জায়গায় শান্তি সমাবেশে অংশ নেই। ওই দিন মধ্যরাত পর্যন্ত যুবলীগ নেতা শরিফ হায়দার মৃধার সঙ্গে রাজপথে ছিলাম। অথচ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বেড়াইদেরচালা এলাকায় তাকওয়া পরিবহনের একটি বাস ভাঙচুরের মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমাকেও আসামি করা হয়েছে। যে মামলায় মোট আসামি ২৭ জন, সেখানে আমাকে ১৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার তাকওয়া পরিবহনের মিনিবাসের মালিক স্বপন আহমদ বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করেন। অথচ সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রতিদিন আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে অংশ নিচ্ছি আমি।’
বরমী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. মুরাদ হোসেন বলেন, ‘আমি দীর্ঘ সাত বছর ছাত্রলীগের ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ছিলাম। আব্দুল্লাহ আল মামুন নিয়মিত ছাত্রলীগের সব আন্দোলন-প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতেন। তাকে যড়যন্ত্র করে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’
বরমী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফ হায়দার মৃধা বলেন, ‘আব্দুল্লাহ আল মামুন ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। পারিবারিক কারণে যড়যন্ত্র করে তাকে মামলার আসামি করা হয়েছে। মামলায় গাড়ি ভাঙচুরের যে সময় দেখানো হয়েছে, সে তখন আমার বাসায় ছিল। আমরা শান্তি সমাবেশে যোগদান করতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এরপর আমার সঙ্গে থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য রুমানা আলী টুসি আপার সমর্থনে চারটি প্রোগ্রামে অংশ নেই। তারা মধ্যরাত পর্যন্ত আমার সঙ্গে নিয়মিত। তাহলে কী করে গাড়ি ভাঙচুর করল?’
শরিফ হায়দার মৃধার দাবি, দুই গ্রুপের রাজনৈতিক বিরোধের কারণে তাকে যড়যন্ত্র করে মামলার আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী স্বপন আহমদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে পরপর কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, ‘মামলায় বাদী এজাহারে যাদের নাম উল্লেখ করেছেন, সেটি মামলা হিসেবে রুজু হয়েছে। তদন্তের পর জড়িত থাকার প্রমাণ না পেলে চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হবে।’
এম.নাসির/৭