ঢাকা ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিএফইউজে প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

‘আজ এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:৫৯:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩ ৫১ বার পড়া হয়েছে
নিউজ ফর জাস্টিস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএফইউজে প্রতিনিধি সম্মেলনে উপস্থিত হতে পেরে আনন্দিত অনুভব করছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আজ এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। করোনা শুরু হওয়ার পর বাইরে যাওয়া একবারে বন্ধ ছিল। সাক্ষাৎকার বন্ধ ছিল। মনে হতো একটা বড় জেলে বন্দি। আজ আপনাদের মাঝে আসতে পেরেছি, সেজন্য শুকরিয়া।’

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টসের (বিএফইউজে) প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসার পর প্রতিটি ক্ষেত্রকে বেসরকারির জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। ’৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আমরা সরকারে ছিলাম। সরকারে আসার পর মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই আমাদের লক্ষ্য ছিল। প্রতিটি ক্ষেত্রকে বেসরকারির জন্য উন্মুক্ত করে দিই।

তিনি বলেন, বাঙালি জাতি যেন যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে। বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে যেন দাঁড়াতে পারে, এটাই ছিল তার (বঙ্গবন্ধু) লক্ষ্য। জাতির পিতার সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য নিয়ে আমি দেশে ফিরে আসি। তিন বছর সাত মাস তিনি সময় পেয়েছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে তিনি স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করতে চেয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের সাংবাদিক এবং কলাকৌশলীসহ মানুষের কর্মসংস্থান যাতে ব্যাপকহারে হয় তার জন্য বেসরকারি খাত উন্মুক্ত করে দিই। আমাদের একটি মাত্র টেলিভিশন ছিল। যারা সরকারের থাকত তাদেরই অধীন ছিল। কে আমার গুণগান গাইল, কে আমার গুণগান গাইল না, সেটা আমি দেখি না। আমি সব কিছু মুক্ত করে দিই। ২০০৯ সালে যখন আমরা সরকারে আসি তখন তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করি। তথ্য কমিশন গঠন করি, অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়ন করি।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে মানুষ যত বেশি, সংবাদপত্রও তত বেশি। অনেক উন্নত দেশ কিংবা ধনী দেশেও এত সংবাদপত্র নেই। বর্তমানে আমাদের পত্রিকার সংখ্যা ৩২৪১টি। অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল রয়েছে ৩৮৭টি। বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশাপাশি ৩৩টি টেলিভিশন সম্প্রচারে রয়েছে।

টেলিভিশন মালিকদের উদ্দেশ করে সরকারপ্রধান কলেন, টেলিভিশনের মালিকরা কিন্তু টেলিভিশন চালাচ্ছে। এত সহজ করে দিলাম মালিকরা কেন কল্যাণ ট্রাস্টে অনুদান দেয় না, সেটাই আমার প্রশ্ন। কয়েকজন দিয়েছে কিন্তু বেশির ভাগ মালিকই দেয়নি। সেটা হিসাব করা যায়– কারা দিল, কারা দেয়নি। না দিলে বন্ধ করে দিতে পারি, সেটা করতে চাই না। বন্ধ করার ব্যবস্থা কিন্তু আছে। কে কে দিয়েছে সেই হিসাবটা আমাকে দিয়েন, কল্যাণ ট্রাস্টে ফান্ড দেবে তারপর চলবে। এখানে মালিক আছে, তাই একটু বললাম, দেখি ভয় পেয়ে কিছু দেয় নাকি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের দ্বিতীয়টা উৎক্ষেপণের ব্যবস্থা নিয়েছি।

বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন।

আরও পড়ুন:

জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে নিউজ ফর জাস্টিস-এর আত্মপ্রকাশ

এএমএন/০২

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বিএফইউজে প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

‘আজ এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত’

আপডেট সময় : ০২:৫৯:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩

বিএফইউজে প্রতিনিধি সম্মেলনে উপস্থিত হতে পেরে আনন্দিত অনুভব করছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আজ এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। করোনা শুরু হওয়ার পর বাইরে যাওয়া একবারে বন্ধ ছিল। সাক্ষাৎকার বন্ধ ছিল। মনে হতো একটা বড় জেলে বন্দি। আজ আপনাদের মাঝে আসতে পেরেছি, সেজন্য শুকরিয়া।’

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টসের (বিএফইউজে) প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসার পর প্রতিটি ক্ষেত্রকে বেসরকারির জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। ’৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আমরা সরকারে ছিলাম। সরকারে আসার পর মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই আমাদের লক্ষ্য ছিল। প্রতিটি ক্ষেত্রকে বেসরকারির জন্য উন্মুক্ত করে দিই।

তিনি বলেন, বাঙালি জাতি যেন যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে। বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে যেন দাঁড়াতে পারে, এটাই ছিল তার (বঙ্গবন্ধু) লক্ষ্য। জাতির পিতার সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য নিয়ে আমি দেশে ফিরে আসি। তিন বছর সাত মাস তিনি সময় পেয়েছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে তিনি স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করতে চেয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের সাংবাদিক এবং কলাকৌশলীসহ মানুষের কর্মসংস্থান যাতে ব্যাপকহারে হয় তার জন্য বেসরকারি খাত উন্মুক্ত করে দিই। আমাদের একটি মাত্র টেলিভিশন ছিল। যারা সরকারের থাকত তাদেরই অধীন ছিল। কে আমার গুণগান গাইল, কে আমার গুণগান গাইল না, সেটা আমি দেখি না। আমি সব কিছু মুক্ত করে দিই। ২০০৯ সালে যখন আমরা সরকারে আসি তখন তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করি। তথ্য কমিশন গঠন করি, অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়ন করি।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে মানুষ যত বেশি, সংবাদপত্রও তত বেশি। অনেক উন্নত দেশ কিংবা ধনী দেশেও এত সংবাদপত্র নেই। বর্তমানে আমাদের পত্রিকার সংখ্যা ৩২৪১টি। অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল রয়েছে ৩৮৭টি। বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশাপাশি ৩৩টি টেলিভিশন সম্প্রচারে রয়েছে।

টেলিভিশন মালিকদের উদ্দেশ করে সরকারপ্রধান কলেন, টেলিভিশনের মালিকরা কিন্তু টেলিভিশন চালাচ্ছে। এত সহজ করে দিলাম মালিকরা কেন কল্যাণ ট্রাস্টে অনুদান দেয় না, সেটাই আমার প্রশ্ন। কয়েকজন দিয়েছে কিন্তু বেশির ভাগ মালিকই দেয়নি। সেটা হিসাব করা যায়– কারা দিল, কারা দেয়নি। না দিলে বন্ধ করে দিতে পারি, সেটা করতে চাই না। বন্ধ করার ব্যবস্থা কিন্তু আছে। কে কে দিয়েছে সেই হিসাবটা আমাকে দিয়েন, কল্যাণ ট্রাস্টে ফান্ড দেবে তারপর চলবে। এখানে মালিক আছে, তাই একটু বললাম, দেখি ভয় পেয়ে কিছু দেয় নাকি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের দ্বিতীয়টা উৎক্ষেপণের ব্যবস্থা নিয়েছি।

বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন।

আরও পড়ুন:

জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে নিউজ ফর জাস্টিস-এর আত্মপ্রকাশ

এএমএন/০২