জাতীয় সংসদ নির্বাচন
পহেলা নভেম্বর থেকে স্মার্টকার্ড বিতরণ স্থগিত

- আপডেট সময় : ০৩:১৮:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩ ২৮ বার পড়া হয়েছে

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পহেলা নভেম্বর ২০২৩ পরবর্তী সময় থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত রাখবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় গৃহিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সংক্রান্ত সভার কার্যবিবরণী থেকে এমন তথ্য জানা যায়।
স্মার্টকার্ড বিতরণের কার্যক্রম কবে থেকে চালু হবে জানতে চাইলে ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, সংসদ নির্বাচনের পর কমিশন সিদ্ধান্ত দিলেই চালু হবে। এছাড়া সংসদ নির্বাচনের পরপরই উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেক্ষেত্রে এনআইডি’র স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম চালু হবে কি-না তা এখনই নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়।
কোনো নাগরিকদের স্মার্ট কার্ড প্রয়োজন হলে তারা কি উপজেলা অফিস থেকে তাদের কার্ড সংগ্রহ করতে পারবে কি না? এ বিষয়ে তিনি বলেন,যেসব এলাকায় বিতরণ শুরু হয়েছে এবং যাদের স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট হয়ে উপজেলায় চলে গিয়েছে তারা চাইলে উপজেলা অফিস থেকে স্মার্ট সংগ্রহ করতে পারবে।তবে যেসব এলাকায় স্মার্ট এখনো দেওয়া শুরু হয়নি সেসব এলাকায় স্মার্টকার্ড বিতরণের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে স্থগিত থাকবে।
ওই সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়,মাঠ পর্যায়ে চলমান স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করে ৩০ অক্টোবর ২০২৩ এর মধ্যে শেষ করতে হবে। পহেলা নভেম্বর ২০২৩ পরবর্তী সময় থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। বিষয়টি মাঠ পর্যায়ে অবহিতকরণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করতে হবে।
২০১১ সালে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় একটি প্রকল্প হাতে নেয়। যার নাম দেওয়া হয় আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর অ্যানহেন্সিং এক্সেস টু সার্ভিস বা আইডিইএ। যার অধীনেই নাগরিকদের এই কার্ড দেওয়া শুরু হয় ২০১৫ সালে।
সে সময় ফরাসি প্রযুক্তিপণ্য প্রস্তুকারী প্রতিষ্ঠান অবার্থার টেকনোলজিজের সঙ্গে নয় কোটি কার্ড সরবারের চুক্তি করে ইসি। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ালেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কার্ড সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানটি। ফলে ঝুলে যায় নাগরিকদের স্মার্টকার্ড প্রাপ্তি।
এরপর ২০১৮ সালে এসে দেশিয় প্রতিষ্ঠান বিএমটিএফ-এর কাছ থেকেই উন্নতমানের এই কার্ড সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত হয়। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠান থেকেই সহায়তা নিচ্ছে ইসি।
সর্বশেষ ২০২২ সালের হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন। আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন। তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভূক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করায় এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তাই এবার ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা বাড়ছে পাঁচ শতাংশের মতো।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিলের পর আগামী জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এম .নাসির/২২