ঢাকা ০৯:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

‘অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধের নীতিমালা আইনের অংশ’

আদালত প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:৩৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩ ৩১ বার পড়া হয়েছে
নিউজ ফর জাস্টিস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রসূতির অপ্রয়োজনীয় সিজার কার্যক্রম রোধে, জারি করা নীতিমালাগুলোকে আইনের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জনসচেতনতা তৈরি করতে নীতিমালাগুলো আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্রচারের ব্যবস্থা করতে বলেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

পরে ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, স্বাভাবিক প্রসবের ব্যাপক প্রচারণা এবং অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধ করার লক্ষ্যে গাইডলাইনগুলো আগামী ৬ মাসের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত নীতিমালাকে আইনের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাই এই নীতিমালা মানতে এখন সবাই বাধ্য। নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে একটি হাইকোর্টের আরও একটি রায়।

এর আগে, গত বুধবার (১১ অক্টোবর) প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতির সিজার কার্যক্রম বন্ধে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। ২০১৯ সালের ৩০ জুন প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতির সিজার কার্যক্রম রোধে নীতিমালা তৈরি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান প্রতিরোধে কার্যকর তদারকি করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

/আবদুর রহমান খান/

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধের নীতিমালা আইনের অংশ’

আপডেট সময় : ০১:৩৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

প্রসূতির অপ্রয়োজনীয় সিজার কার্যক্রম রোধে, জারি করা নীতিমালাগুলোকে আইনের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জনসচেতনতা তৈরি করতে নীতিমালাগুলো আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্রচারের ব্যবস্থা করতে বলেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

পরে ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, স্বাভাবিক প্রসবের ব্যাপক প্রচারণা এবং অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধ করার লক্ষ্যে গাইডলাইনগুলো আগামী ৬ মাসের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত নীতিমালাকে আইনের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাই এই নীতিমালা মানতে এখন সবাই বাধ্য। নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে একটি হাইকোর্টের আরও একটি রায়।

এর আগে, গত বুধবার (১১ অক্টোবর) প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতির সিজার কার্যক্রম বন্ধে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। ২০১৯ সালের ৩০ জুন প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতির সিজার কার্যক্রম রোধে নীতিমালা তৈরি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান প্রতিরোধে কার্যকর তদারকি করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

/আবদুর রহমান খান/