জয়পুরহাটে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

- আপডেট সময় : ০২:৪৪:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ৩৬ বার পড়া হয়েছে

জয়পুরহাটে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ ন ম শওকত হাবিব তালুকদার লজিককে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। তিনি একটি হত্যা মামলার প্রধান আসামি।
গতকাল রোববার (২২ অক্টোবর) রাতে মাত্রাই বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পিবিআইয়ের বগুড়ার এসপি কাজী এহসান কবির।
শওকত হাবিব তালুকদার (৪৭) উপজেলার মাত্রাই গ্রামের মৃত আজাহারুল ইসলাম তালুকদারের ছেলে। নিহত খোদেজা বেগম মাত্রাই গ্রামের সোনারপাড়ার মোজাহার আলী সরদারের স্ত্রী।
এ ব্যাপারে কাজী এহসান কবির বলেন, ২০১৯ সালে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মাত্রাই এলাকায় একটি হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই মামলার ১ নম্বর আসামি ছিলেন শওকত হাবিব তালুকদার। থানা পুলিশ ও সিআইডি শওকতসহ তিনজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ওই মামলার তদন্ত পায় পিবিআই। পিবিআই শওকত হাবিবের জড়িত থাকার তথ্য পায়। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরের মধ্যে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হবে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ‘২০১৯ সালের ৭ আগস্ট মোজাহার আলী সরদার তার দুই ছেলে খলিলুর রহমান ও লুৎফর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে তার দখলে থাকা জমির আইল কাটতে যায়। তা দেখে শওকত হাবিবের নির্দেশে প্রতিপক্ষ নুরনবী লাঠিসোঁটাসহ লোকজন নিয়ে ওই জমি নিজের দাবি করে দখল নিতে যায়। এ সময় মাঠের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। নুরনবীর লোকজন খলিলুর রহমান ও লুৎফর রহমানকে মারপিট করতে থাকলে মা খোদেজা বিবি দুই ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। একপর্যায়ে খোদেজাকে কোদাল দিয়ে আঘাত করলে তিনিসহ তার দুই ছেলে গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।’
ওই ঘটনায় খোদেজার স্বামী মোজাহার আলী সরদার বাদী হয়ে শওকত হাবিব তালুকদার লজিককে ১ নম্বর আসামি করে ২০ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন জেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। বিচারক মামলাটি কালাই থানায় দায়ের করার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে কালাই থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ খান মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করেন এবং তৎকালীন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোখলেছুর রহমানকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেন।
তদন্ত কর্মকর্তা ওই মামলা থেকে শওকত হাবিবসহ তিনজনকে বাদ দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়ায় বাদী অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজির আবেদন করেন। আদালত বাদীর আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটি আবার তদন্তের জন্য সিআইডি পুলিশকে নির্দেশ দেন। সিআইডি পুলিশও ওই মামলায় শওকত হাবিবসহ তিনজনকে বাদ দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে মামলার বাদী মোজাহার আলী সরদার মারা যান। পরে আদালতের নির্দেশে তার ছেলে লুৎফর রহমান বাদী হিসেবে নারাজি দেন। এরপর মামলাটি পিবিআই বগুড়াকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই মামলায় রোববার রাতে তাকে আটক করে পিবিআই।
এম.নাসির/২৩