ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড

চট্টগ্রাম প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৮:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ২৫ বার পড়া হয়েছে
নিউজ ফর জাস্টিস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মো. নাছির উদ্দিন মোল্লাকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে তাকে ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানায় দায়ের হওয়া মামলার রায় এটি।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এই রায় ঘোষণা করেন।

এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নাছির মোল্লাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নাছির মোল্লা ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানার পশ্চিম শৌলজালিয়া এলাকার মৃত জলিল মোল্লার ছেলে।

তিনি নগরের উত্তর পতেঙ্গা ডেবার পাড় হাউজিং কলোনি রোড মনছুরের ভাড়া ঘরে বসবাস করতেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীরা ২ বোন। তাদের মা নগরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

 

চট্টগ্রামে মেয়েকে ধর্ষণ

২০২১ সালে ২৫ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত মায়ের অনুপস্থিতিতে ভুক্তভোগীকে আসামি নাছির মোল্লা একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটান।

সর্বশেষ ২০২১ সালের ২০ এপ্রিল ভুক্তভোগীর মা চাকরির উদ্দেশ্যে চলে যায়।

ওই সময় আসামি ভুক্তভোগী ডেকে বলেন, তার ব্যবহৃত মোবাইলটা চার্জে লাগিয়ে দিতে।

চার্জে থাকা মোবাইলটি আনতে গেলে বাবা হাত ধরে টান দিয়ে নগরের পতেঙ্গা মডেল থানার উত্তর পতেঙ্গা হাউজিং কলোনি রোড ডেবার পাড় মনছুরের বিল্ডিংয়ের ২য় তলার বাসায় ভুক্তভোগীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আরিফুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন,

ভুক্তভোগী শিশুর মায়ের সঙ্গে আসামির নাছির মোল্লার ২০০৬ সালে প্রথম বিয়ে হয়।

এরপর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। মাঝখানে ভুক্তভোগীর মায়ের একাধিক স্বামীর সঙ্গে বিয়ে হয়।

এরপর ২০১৯ সালে ভুক্তভোগীর মায়ের সঙ্গে আসামির পুনরায় বিয়ে হয়।

এ কারণে সাফাই সাক্ষ্যতে আসামি ভুক্তভোগী শিশুকে নিজের কন্যাসন্তান নয় বলে বারবার দাবি করছিলেন।

পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএনএ টেস্টে আসামি এবং ভুক্তভোগী পিতা-কন্যা বলে প্রমাণিত হয়।

উল্লেখ্য, এ ঘটনায় ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল নাছির মোল্লার বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়।

আলোচিত মামলাটির তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৪ জুন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ।

এরপর বিচারিক প্রক্রিয়ায় আদালতে আসামির বিরুদ্ধে ৮ জন সাক্ষ্য প্রদান করা হয়।

 

/আবদুর রহমান খান/

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

চট্টগ্রামে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় : ০৭:৫৮:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মো. নাছির উদ্দিন মোল্লাকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে তাকে ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানায় দায়ের হওয়া মামলার রায় এটি।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এই রায় ঘোষণা করেন।

এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নাছির মোল্লাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নাছির মোল্লা ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানার পশ্চিম শৌলজালিয়া এলাকার মৃত জলিল মোল্লার ছেলে।

তিনি নগরের উত্তর পতেঙ্গা ডেবার পাড় হাউজিং কলোনি রোড মনছুরের ভাড়া ঘরে বসবাস করতেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীরা ২ বোন। তাদের মা নগরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

 

চট্টগ্রামে মেয়েকে ধর্ষণ

২০২১ সালে ২৫ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত মায়ের অনুপস্থিতিতে ভুক্তভোগীকে আসামি নাছির মোল্লা একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটান।

সর্বশেষ ২০২১ সালের ২০ এপ্রিল ভুক্তভোগীর মা চাকরির উদ্দেশ্যে চলে যায়।

ওই সময় আসামি ভুক্তভোগী ডেকে বলেন, তার ব্যবহৃত মোবাইলটা চার্জে লাগিয়ে দিতে।

চার্জে থাকা মোবাইলটি আনতে গেলে বাবা হাত ধরে টান দিয়ে নগরের পতেঙ্গা মডেল থানার উত্তর পতেঙ্গা হাউজিং কলোনি রোড ডেবার পাড় মনছুরের বিল্ডিংয়ের ২য় তলার বাসায় ভুক্তভোগীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আরিফুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন,

ভুক্তভোগী শিশুর মায়ের সঙ্গে আসামির নাছির মোল্লার ২০০৬ সালে প্রথম বিয়ে হয়।

এরপর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। মাঝখানে ভুক্তভোগীর মায়ের একাধিক স্বামীর সঙ্গে বিয়ে হয়।

এরপর ২০১৯ সালে ভুক্তভোগীর মায়ের সঙ্গে আসামির পুনরায় বিয়ে হয়।

এ কারণে সাফাই সাক্ষ্যতে আসামি ভুক্তভোগী শিশুকে নিজের কন্যাসন্তান নয় বলে বারবার দাবি করছিলেন।

পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএনএ টেস্টে আসামি এবং ভুক্তভোগী পিতা-কন্যা বলে প্রমাণিত হয়।

উল্লেখ্য, এ ঘটনায় ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল নাছির মোল্লার বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়।

আলোচিত মামলাটির তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৪ জুন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ।

এরপর বিচারিক প্রক্রিয়ায় আদালতে আসামির বিরুদ্ধে ৮ জন সাক্ষ্য প্রদান করা হয়।

 

/আবদুর রহমান খান/