ঢাকা ০৯:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৭

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:৩৭:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩ ৩৫ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ফটো

নিউজ ফর জাস্টিস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনার মূলহোতাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তারকরা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে হানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। ৪৮ লাখ টাকা ডাকাতি হলেও এখন পর্যন্ত ২০ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে।

গতকাল শনিবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ডিএমপির সহকারী কমিশনা (মিডিয়া) নিউটন দাস এক বার্তায় এতথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার সাতজন হলেন- মো. সবুজ মিয়া শ্যামল (৩৯), মো. সাহারুল ইসলাম সাগর (২৩), আবু ইউসুফ (৪১), দিদার ওরফে দিদার মুন্সী (৩৫), মো. ফেরদৌস ওয়াহীদ (৩৫), মো. আলামিন দুয়ারী ওলফে দিপু (৪২) ও মো. দাউদ হোসেন মোল্যা (৩৯)।

তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার, র‌্যাব লেখা জ্যাকেট, হাতকড়া, খেলনা পিস্তল, ওয়্যাররলেস সেট, মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কার এবং ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন জানান, গত ১০ অক্টোবর র‌্যাব পরিচয়ে ওই ডাকাতি হয়।

তিনি জানান, সেদিন উত্তরার আল আরাফা ব্যাংকে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন ‘মাদার টেক্সটাইল’ নামের একটি কোম্পানির হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা অনিমেষ চন্দ্র সাহা এবং তার এক সহকর্মী মো. শাহজাহান মিয়া। তাদের সঙ্গে কোম্পানির গাড়ি ছিল।

র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬
ফাইল ফটো

টাকা তোলার পর ব্যাংকে বসেই কোম্পানির একজন অংশদীদার মো. জাফর ইকবালের নির্দেশ অনুযায়ী তার এক পরিচিতি ব্যক্তি মো. রাজনকে ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেন অনিমেষ। এরপর বাকি ৪৮ লাখ টাকা নিয়ে অফিসের গাড়িতে করেই বনানীর বাসায় ফিরছিলেন তিনি।

“কাওলা থেকে টোল দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার পর বিকাল ৪টার দিকে মেরুন রঙের একটি প্রাইভেট কার অনিমেষদের গাড়ির পাশ কাটিয়ে সামনে এসে দাঁড়ায়।”

পুলিশ কর্মকর্তা হারুন বলেন, মেরুন রঙের ওই গাড়ি থেকে র‌্যাব লেখা জ্যাকেট পরা ৫ থেকে ৬ জন বেরিয়ে আসেন। অনিমেষ ও শাহজাহানের কাছে ‘অবৈধ অস্ত্র আছে’ বলে চালকসহ তিনজনকে মেরুন গাড়িতে তুলে হাতকড়া পরিয়ে চোখও বেঁধে ফেলে।

“অনিমেষদের বর্ণনা অনুযায়ী, গাড়িটি ২৫ মিনিট ঘুরিয়ে পরে ৩০০ ফুট রাস্তার বোয়ালিয়া ব্রিজের উপরে তিনজনকে ছেড়ে দেয়। ওই সময় অনিমেষের কাছে থাকা ৪৮ লাখ টাকা, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।

ওই ঘটনার পর অনিমেষ রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন। মামলার পর তদন্তে নামে পুলিশ, অবশেষে শনিবার গ্রেপ্তার করা হয় সাতজনকে।

এম.নাসির/২২

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৭

আপডেট সময় : ০২:৩৭:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনার মূলহোতাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তারকরা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে হানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। ৪৮ লাখ টাকা ডাকাতি হলেও এখন পর্যন্ত ২০ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে।

গতকাল শনিবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ডিএমপির সহকারী কমিশনা (মিডিয়া) নিউটন দাস এক বার্তায় এতথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার সাতজন হলেন- মো. সবুজ মিয়া শ্যামল (৩৯), মো. সাহারুল ইসলাম সাগর (২৩), আবু ইউসুফ (৪১), দিদার ওরফে দিদার মুন্সী (৩৫), মো. ফেরদৌস ওয়াহীদ (৩৫), মো. আলামিন দুয়ারী ওলফে দিপু (৪২) ও মো. দাউদ হোসেন মোল্যা (৩৯)।

তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার, র‌্যাব লেখা জ্যাকেট, হাতকড়া, খেলনা পিস্তল, ওয়্যাররলেস সেট, মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কার এবং ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন জানান, গত ১০ অক্টোবর র‌্যাব পরিচয়ে ওই ডাকাতি হয়।

তিনি জানান, সেদিন উত্তরার আল আরাফা ব্যাংকে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন ‘মাদার টেক্সটাইল’ নামের একটি কোম্পানির হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা অনিমেষ চন্দ্র সাহা এবং তার এক সহকর্মী মো. শাহজাহান মিয়া। তাদের সঙ্গে কোম্পানির গাড়ি ছিল।

র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬
ফাইল ফটো

টাকা তোলার পর ব্যাংকে বসেই কোম্পানির একজন অংশদীদার মো. জাফর ইকবালের নির্দেশ অনুযায়ী তার এক পরিচিতি ব্যক্তি মো. রাজনকে ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেন অনিমেষ। এরপর বাকি ৪৮ লাখ টাকা নিয়ে অফিসের গাড়িতে করেই বনানীর বাসায় ফিরছিলেন তিনি।

“কাওলা থেকে টোল দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার পর বিকাল ৪টার দিকে মেরুন রঙের একটি প্রাইভেট কার অনিমেষদের গাড়ির পাশ কাটিয়ে সামনে এসে দাঁড়ায়।”

পুলিশ কর্মকর্তা হারুন বলেন, মেরুন রঙের ওই গাড়ি থেকে র‌্যাব লেখা জ্যাকেট পরা ৫ থেকে ৬ জন বেরিয়ে আসেন। অনিমেষ ও শাহজাহানের কাছে ‘অবৈধ অস্ত্র আছে’ বলে চালকসহ তিনজনকে মেরুন গাড়িতে তুলে হাতকড়া পরিয়ে চোখও বেঁধে ফেলে।

“অনিমেষদের বর্ণনা অনুযায়ী, গাড়িটি ২৫ মিনিট ঘুরিয়ে পরে ৩০০ ফুট রাস্তার বোয়ালিয়া ব্রিজের উপরে তিনজনকে ছেড়ে দেয়। ওই সময় অনিমেষের কাছে থাকা ৪৮ লাখ টাকা, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।

ওই ঘটনার পর অনিমেষ রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন। মামলার পর তদন্তে নামে পুলিশ, অবশেষে শনিবার গ্রেপ্তার করা হয় সাতজনকে।

এম.নাসির/২২