ইমামকে চুবানোর হুমকি
আলোচিত ইউএনওকে রাঙামাটিতে বদলি

- আপডেট সময় : ০২:১৪:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ২১ বার পড়া হয়েছে

আলোচিত কুমিল্লার লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফোরকান এলাহী অনুপমকে রাঙামাটিতে বদলি করা হয়েছে। গত ১৩ অক্টোবর (শুক্রবার) খুতবা শেষে জুমার নামাজ শুরুর আগে ইউএনও একটু সরে দাঁড়াতে বলায় ক্ষুব্ধ হয়ে একাধিকবার সেই ইমামকে পানিতে চুবানোর হুমকি দেন।
গতকাল রোববার (২২ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ শামীম আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বদলির এই আদেশ দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফোরকান এলাহী অনুপমকে রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করতে বলা হয়েছে। আর ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌমিতা দাশকে লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করতে বলা হয়েছে। আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর (শুক্রবার) খুতবা শেষে জুমার নামাজ শুরুর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) একটু সরে দাঁড়াতে বলাকে কেন্দ্র করে লালমাই উপজেলার ভাটরা কাছারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমামকে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া এ ঘটনায় ইউএনও ক্ষুব্ধ হয়ে একাধিকবার সেই ইমামকে মসজিদের পুকুরের পানিতে চুবানোর হুমকি দেন।
ঘটনাটি নিয়ে ১৪ অক্টোবর বিকেলে ‘নামাজের সময় ইউএনওকে সরে দাঁড়াতে বলায় চাকরি হারালেন ইমাম!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে দেশের একটি জাতীয় দৈনিক। এরপর খবরটি দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এরপর ১৫ অক্টোবর বিকেলে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তার কার্যালয়ে যান ইউএনওর তোপের মুখে পড়া সেই ইমাম। ইমামসহ সংশ্লিষ্টদের থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে জেলা প্রশাসক ইউএনওকে ইমামের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে বলেন।
এ সময় ইউএনও ‘স্যরি’ বলে ওই ইমামের সঙ্গে কোলাকুলি করেন। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ইউএনও নিজের গাড়িতে করে ইমামকে ওই মসজিদে নিয়ে যান এবং ইমামের পেছনে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন।
এম.নাসির/২৩