ঢাকা ১০:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিশুদের জ্বর হলে করণীয়

শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয়

মোঃ জুনাইদ হোসাইন
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৭:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ৫৭ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ফটো

নিউজ ফর জাস্টিস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শিশুদের হালকা জ্বর (১০০ থেকে ১০২) দেখা দিলে প্রাথমিক ভাবে যা করা দরকার। যেমন ভিজা গামছা বা সুতি কাপড় দিয়ে পড়ো শরীর ভালো করে মুছে দেওয়া, নিয়মিত ওষুধ খাওয়ানো, গরম ও নরম খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করা। সবচেয়ে বড় কথা শিশুকে বিশ্রাম নিতে দেওয়া, ভালো ভাবে ঘুমাতে দেওয়া, জ্বর থাকলেও ঘুম থেকে না জাগানো সহ, আরো আন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে ।

এছাড়াও আবহাওয়ার পাশাপাশি তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তনের কারণেও ঘরে ঘরে দেখা দেয় জ্বর, সর্দি-কাশিসহ, ঠাণ্ডাজনিত এমন নানা রোগের-রোগী।

ডাক্তার ও মেডিসিন:


যেকোনো ভাইরাস জ্বর ৩ থেকে ৫দিন টানা ১০২/১০৩ থাকতে পারে। এসময়ের মধ্যে জ্বর কমলে ১০১ এর নিচে নাও নামতে পারে। কাজেই জ্বর শুরু হওয়ার পরের বেলাতেই বা পরের দিন জ্বর কেনো কমছে না, তা নিয়ে অস্থির হওয়া যাবে না। একদিনে জ্বর কমিয়ে দেওয়ার কোনো মেডিসিন বা ম্যাজিক ডাক্তারদের জানা নাই। ভাইরাস জ্বরে এন্টিবায়োটিক কোনো কাজে লাগে না, যদি না কোন ইনফেকশনের সোর্স পাওয়া যায়, যা অনেক সময় প্রকাশ পেতে তিন দিনও লেগে যায়। আরো জানার বিষয়, জ্বরের ওষুধ ডাবল ডোজে বা ঘন ঘন খাওয়ালে ও এন্টিবায়োটিক দিলেই জ্বর ভালো হয়ে যাবে না। ভাইরাসের পরিমাণের উপর অর্থ্যাৎ ভাইরাস কতদিন সক্রিয় থাকে তার উপর জ্বরের স্থায়িত্ব নির্ভর করে।

‘চিকিৎসকদের পরামর্শ’ বার বার জ্বর আসার কারণ;

বার বার জ্বর আসার কারণ
ফাইল ফটো

চিকিৎসকরা বলেন, জ্বর আসলে কোন রোগ নয়, বরং এটি রোগের একটি লক্ষণ বা উপসর্গ। টিকা নিলে, ফোঁড়া বা টিউমার হলে, রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস, প্রস্রাবের রাস্তায় ইনফেকশন হলে, পিরিয়ডের কারণে, আকস্মিক ভয় পেলে বা মানসিক আঘাত পেলেও জ্বর হতে পারে। করোনাভাইরাস, ডেঙ্গু, টাইফয়েড বা ম্যালেরিয়ার মতো রোগেরও প্রাথমিক লক্ষণ জ্বর আসা।

প্রথমত জ্বর নিজেস্ব কোনো রোগ নয়। বরং দেহের অন্য কোনো রোগের বর্হিঃপ্রকাশ হলো এই জ্বর। আমাদের দেহে যখন কোনো ভাইরাস এট্যাক করে কিংবা আমাদের দেহে যখন কোনো রোগ বাসা বাধে তখন আমাদের দেহ সেই রোগ কিংবা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করার জন্য নিজের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আর এটাকে আমরা জ্বর বলি।

বারবার জ্বর আসা মানে আপনার দেহে কোনো রোগ বাসা বাধার চেষ্টা করছে কিংবা ভাইরাস দ্বরা আপনার দেহ বার বার এফেক্টেড হচ্ছে। এক্ষেত্রে যতো দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

আরও পড়ুন:

ভাইরাস জ্বর কত দিন থাকে

টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত

ডেঙ্গু জ্বর হলে কী খেতে হবে?

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

শিশুদের জ্বর হলে করণীয়

শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয়

আপডেট সময় : ০৪:৫৭:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

শিশুদের হালকা জ্বর (১০০ থেকে ১০২) দেখা দিলে প্রাথমিক ভাবে যা করা দরকার। যেমন ভিজা গামছা বা সুতি কাপড় দিয়ে পড়ো শরীর ভালো করে মুছে দেওয়া, নিয়মিত ওষুধ খাওয়ানো, গরম ও নরম খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করা। সবচেয়ে বড় কথা শিশুকে বিশ্রাম নিতে দেওয়া, ভালো ভাবে ঘুমাতে দেওয়া, জ্বর থাকলেও ঘুম থেকে না জাগানো সহ, আরো আন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে ।

এছাড়াও আবহাওয়ার পাশাপাশি তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তনের কারণেও ঘরে ঘরে দেখা দেয় জ্বর, সর্দি-কাশিসহ, ঠাণ্ডাজনিত এমন নানা রোগের-রোগী।

ডাক্তার ও মেডিসিন:


যেকোনো ভাইরাস জ্বর ৩ থেকে ৫দিন টানা ১০২/১০৩ থাকতে পারে। এসময়ের মধ্যে জ্বর কমলে ১০১ এর নিচে নাও নামতে পারে। কাজেই জ্বর শুরু হওয়ার পরের বেলাতেই বা পরের দিন জ্বর কেনো কমছে না, তা নিয়ে অস্থির হওয়া যাবে না। একদিনে জ্বর কমিয়ে দেওয়ার কোনো মেডিসিন বা ম্যাজিক ডাক্তারদের জানা নাই। ভাইরাস জ্বরে এন্টিবায়োটিক কোনো কাজে লাগে না, যদি না কোন ইনফেকশনের সোর্স পাওয়া যায়, যা অনেক সময় প্রকাশ পেতে তিন দিনও লেগে যায়। আরো জানার বিষয়, জ্বরের ওষুধ ডাবল ডোজে বা ঘন ঘন খাওয়ালে ও এন্টিবায়োটিক দিলেই জ্বর ভালো হয়ে যাবে না। ভাইরাসের পরিমাণের উপর অর্থ্যাৎ ভাইরাস কতদিন সক্রিয় থাকে তার উপর জ্বরের স্থায়িত্ব নির্ভর করে।

‘চিকিৎসকদের পরামর্শ’ বার বার জ্বর আসার কারণ;

বার বার জ্বর আসার কারণ
ফাইল ফটো

চিকিৎসকরা বলেন, জ্বর আসলে কোন রোগ নয়, বরং এটি রোগের একটি লক্ষণ বা উপসর্গ। টিকা নিলে, ফোঁড়া বা টিউমার হলে, রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস, প্রস্রাবের রাস্তায় ইনফেকশন হলে, পিরিয়ডের কারণে, আকস্মিক ভয় পেলে বা মানসিক আঘাত পেলেও জ্বর হতে পারে। করোনাভাইরাস, ডেঙ্গু, টাইফয়েড বা ম্যালেরিয়ার মতো রোগেরও প্রাথমিক লক্ষণ জ্বর আসা।

প্রথমত জ্বর নিজেস্ব কোনো রোগ নয়। বরং দেহের অন্য কোনো রোগের বর্হিঃপ্রকাশ হলো এই জ্বর। আমাদের দেহে যখন কোনো ভাইরাস এট্যাক করে কিংবা আমাদের দেহে যখন কোনো রোগ বাসা বাধে তখন আমাদের দেহ সেই রোগ কিংবা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করার জন্য নিজের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আর এটাকে আমরা জ্বর বলি।

বারবার জ্বর আসা মানে আপনার দেহে কোনো রোগ বাসা বাধার চেষ্টা করছে কিংবা ভাইরাস দ্বরা আপনার দেহ বার বার এফেক্টেড হচ্ছে। এক্ষেত্রে যতো দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

আরও পড়ুন:

ভাইরাস জ্বর কত দিন থাকে

টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত

ডেঙ্গু জ্বর হলে কী খেতে হবে?