লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় !

- আপডেট সময় : ০৫:৩৩:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩ ৭৭ বার পড়া হয়েছে

লেবু দিয়ে কিভাবে ওজন কমানো যায় তার বিস্তারিত জানবো আজকে। পেটের মেদ কমাতে লেবু পানি অনেক কার্যকরী। রাতে গরম পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতার চেয়ে সকালে খালি পেটে খাওয়া ভাল। ঘরে বসে ওজন কমানোর উপায়গুলোর মধ্যে লেবু দিয়ে ওজন কমানো একটি চমৎকার ঘরোয়া উপায়।
আসুন এবার আমরা লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় জানি। লেবু দিয়ে ওজন কমানোর জন্য আপনার প্রয়োজন একটি লেবু ও এক গ্লাস গরম পানি। পানি অবশ্যই কুসুম গরম পানি হতে হবে। এরপর আপনি লেবুটা কেটে হালকা করে এক চা চামচ পরিমাণ লেবুর রস কুসুম গরম এক গ্লাস পানিতে দিন। এরপর এক চিমটি লবণ সেই কুসুম গরম পানিতে দিন। এরপর একটি চামচ দিয়ে হালকা নাড়ুন। এক গ্লাস পানি আপনি সকালে খান। এভাবে নিয়মিত খেতে থাকুন। মোটামুটি 20 থেকে 25 দিনের মধ্যে আপনার শরীরের ওজন প্রায় 10 থেকে 15 কেজি কমে যাবে। মূলত এটাই হলো লেবু দিয়ে ওজন কমানোর সহজ উপায়। তবে যাদের এসিডিটি সমস্যা আছে তারা এই পন্থা অবলম্বন করতে সর্তকতা অবলম্বন করবেন।
ওজন কমানোর সহজ উপায়
ওজন কমানো আসলে খুব কঠিন কাজ নয়। একটু ইচ্ছে আর সামান্য ধৈর্য থাকলেই তা সম্ভব। আর তা যদি ঘরোয়া উপায়ে হওয়া যায়, তাহলে তো মন্দ হয় না।

আরও পড়ুন: নীতা আম্বানির ওজন কমানোর কৌশল
ওজন কমানোর কিছু উপায় হচ্ছে :
১. গ্রিন টি
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন চার কাপ গ্রিন টি পান করলে প্রতি সপ্তাহে অতিরিক্ত ৪০০ ক্যালরি পর্যন্ত ক্ষয় করা সম্ভব। গ্রিন টি-তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি আমাদের দেহের ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন গ্রিন টি অবশ্যই পান করুন।
২. তালিকা
যেদিন থেকে ওজন কমানোর কথা ভাববেন, সেদিন প্রথমেই কী কী খাবেন এবং কখন খাবেন, তার একটা তালিকা বানিয়ে নিন।
৩. নাচ
যদি আপনি নৃত্যশিল্পী নাও হন, তাহলে গানের সঙ্গে পায়ে তাল মেলান। ১০ মিনিট ধরে তাল মিলিয়ে দেখুন। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৫৮ শতাংশ ক্যালরি ঝড়াতে পারবেন।
৪. মসলাদার খাবার
শুধু সেদ্ধ খাবার কখনই খাবেন না। মসলা, যেমন—হলুদ, ধনে, জিরে গুঁড়া ইত্যাদি মসলাগুলোকে কখনো খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেবেন না। কারণ, এ মসলাই আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
৫. ফোনে ঘুরে কথা বলুন
যখন ফোনে কথা বলবেন, তখন একটা জায়গায় বসে কখনই কথা বলবেন না। সব সময় ঘুরে ঘুরে কথা বলুন। এইভাবে ১০ মিনিটে ৩৬ শতাংশ ক্যালরি নষ্ট করতে পারবেন।
৬. পানি পান করুন
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। পানি পানের কারণে আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেওয়া সম্ভব হবে।
৭. ঘর মুছুন
বাড়ির কাজ করুন। যেমন-ঘর মুছলে সবচেয়ে থেকে বেশি ক্যালরি নষ্ট করা যায়। এভাবে ৪২ শতাংশ ক্যালরি নষ্ট করা সম্ভব।
৮. চিনিকে না বলুন
চিনি খাওয়া একেবারে ছেড়ে দিন। এক চা চামচে মোট ১৬ শতাংশ ক্যালরি থাকে। তাই চায়ে বা দুধে কখনোই চিনি দিয়ে খাবেন না।
৯. তাড়াতাড়ি রাতের খাবার শেষ করুন
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাতের খাবার খেয়ে নিন। কারণ, রাতে খাবার খেয়েই শুয়ে পড়লে ওজন আশঙ্কা বাড়ার আশঙ্কা থাকে। আর রাতে যদি খিদে পায় তখন এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন।
১০. জগিং করুন
বাইরে দৌড়াতে যাওয়ার কোনো দরকার নেই। পারলে নিজের ঘরের মধ্যেই জগিং করতে পারেন।
১১. দিনে ঘুম বাদ দিন
রাতে আট ঘণ্টা ঘুমানো খুবই দরকার। কিন্তু কখনই দিনের বেলায় ঘুমাবেন না। এতে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
১২. আস্তে আস্তে খান
যখন খাবার খাবেন, তখন জলদি না খেয়ে আস্তে আস্তে খান। এতে আপনার পেট ঠিকঠাকভাবে ভরবে। যদি খুব বেশি তাড়াহুড়ো করে খান, তাহলে প্রয়োজন থেকে অনেক বেশি খাবার খেয়ে ফেলতে পারেন।
১৩. খাবার আগে পানি খান
খাবার খাওয়ার আগে সব সময় এক গ্লাস পানি খান। এ ছাড়া জাঙ্ক ফুড একেবারেই খাবেন না। যেমন : ক্রিম বিস্কুট, বার্গার ইত্যাদি। যতটা পারবেন বাড়ির তৈরি খাবার খান। এতে শরীর ভালো থাকবে এবং মুটিয়েও যাবেন না।
১৪. ছোট প্লেটে খান
প্লেট বদলে ফেলুন। যে প্লেটে খাবার খান, তার থেকে ছোট প্লেটে খান। এতে মনে হবে বেশি খেয়ে ফেলছেন। তাই কম খাবার খেতে শুরু করবেন।
১৫. খিদে পেলে পপকর্ন খান
শুধু সিনেমা হলে গেলেই পপকর্ন খাবেন না। যখনই খিদে পাবে, তখনই পপকর্ন খেতে পারেন। এটি কম ক্যালরিযুক্ত খাবার। তাই ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে না।
মেদ ও ওজন কমানোর উপায় :

পেটের মেদ থাকলে সৌন্দর্য যেমন ঘাটতি হয় তেমনি নিজের চেহারাও দেখতে বিশ্রী। তবে বাড়িতে কিছু বিষয় নিয়ম অনুযায়ী মেনে চললে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায় অর্থাৎ পেটের মেদ কমানো যায়। ভুড়ি কমাতে কয়েকটি নিয়ম মানলে আপনিও হতে পারেন ছিপছিপে কোমরের অধিকারি। চলুন জেনে নেওয়া যাক, সে উপায়গুলো কী কী-
১.ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম পানিতে লেবুর রস পান করতে পারেন।লেবু দ্রুত চর্বি কমাতে সহায়তা করে।
২.প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে। পানি খাওয়ার ফলে শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন বেরিয়ে যায়। যার ফলে মেদ জমতে পারে না।
৩.অতিরিক্ত চিন্তা ও কম উদ্যোগের ফলেও কোমরের চারপাশে বা পেটে মেদ জমতে পারে। তাই ভুঁড়ি কমাতে অবশ্যই চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করতে হবে।
৪.আদা মেদ কমাতে খুবই কার্যকারী। প্রতিদিন এক কাপ গরম পানির সাথে কয়েক টুকরা আদা খেলে অনেক উপকার পাবেন।
৫.যাদের সারাদিন টেবিল–চেয়ারে বসে কাজ করতে হয়, তাদের পেটে সহজে মেদ জমে যায়। ভুঁড়ি গোল হতে শুরু করে। তাই তাঁদের উচিত ৩০-৪০ মিনিট বসে কাজ করার পর উঠে ১০-১৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা।
৬.গ্রিন টি মেদ কমাতে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পানীয়। এটি অতি সহজেই আপনার মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
৭.গরুর দুধ, সয়াবিন, প্রসেসড মাংস ইত্যাদি খাবারে এমন ফ্যাট প্রচুর পরিমাণে থাকে। তাই পরের বার যখঙ্খাবার কিনতে যাচ্ছেন তখন এসব খাবার কেনা থেকে বিরত থাকুন।
৮.পেটের মেদ ঝরাতে যোগব্যায়াম উপকারি। নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে পেটের মেদ কমানো কমে যায়।
৯.শাক-সবজি-ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ভুড়ি কমানোর জন্য এগুলো আদর্শ খাবার।
১০.রান্নায় আমরা কম বেশি হলুদ ব্যবহার করি। হলুদ একদিকে যেমন ওজন কমায় তেমনি ইনসুলিনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রেণে রাখে।
১১.চিনি খাওয়া একেবারে ছেড়ে দিন। এক চা চামচে মোট ১৬ শতাংশ ক্যালরি থাকে। তাই চায়ে বা দুধে কখনোই চিনি দিয়ে খাবেন না।
১২.কাঁচা রসুন সকাল বেলা চিবিয়ে খান। এই চিকিৎসাটি আপনার ওজন কমানোর জন্য সাহায্য করবে এবং শরীরের রক্ত প্রবাহ সহজ করবে।
১৩.প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন। এতে পেশি স্বাস্থ্যকর হবে। প্রোটিন খাবার বাদ দিলে শরীরে এর বাজে প্রভাব পড়বে। ডিম, দুধ, মুরগির মাংস, ডাল খাদ্যতালিকায় রাখুন। সবকিছু করার পরেও আপনাকে যেটা করতে হবে তাহলো ব্যায়াম। মেদ কমাতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। শরীরকে ঠিক রাখতে প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করতে হবে।
আরও পড়ুন:
মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
এম.নাসির/২৬