গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়

- আপডেট সময় : ০৮:২৩:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ৭৯ বার পড়া হয়েছে

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কম-বেশি সবারই হয়। গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় জানা থাকলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া যেতে পারে। গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলো হল পেটে জ্বালা-পোড়া করা, বদহজম, বমি বমি ভাব, বমি করা, পেটে ক্ষুধা, ক্ষুধা হ্রাস পাওয়া, খাওয়ার পর উপরের পেট বেশি ভরে গিয়েছে অনুভূতি হওয়া ইত্যাদি। খাবার সময়মতো খাওয়া হয়না, বাইরের ভাজা-পোড়া বেশি খাওয়া, জাঙ্কফুড খাওয়া, পরিমাণ মতো পানি না খাওয়া ইত্যাদি কারণে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা দেখা দেয়।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
আলুর রস
১. গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় অন্যতম ভাল উপায় হল আলুর রস। আলুর অ্যালকালাইন উপাদান গ্যাস্ট্রিক সমস্যার লক্ষণগুলো রোধ করে থাকে।
২. একটি বা দুটো আলু নিয়ে গ্রেট করে নিন। এর গ্রেট করা আলু থেকে রস বের করে নিন। এরপর আলুর রসের সাথে গরম পানি মিশিয়ে নিন। এই পানীয় দিনে ৩ বার পান করুন। প্রতি বেলায় খাবার ৩০ মিনিট আগে খেয়ে নিন আলুর রস। তবে অন্তত ২ সপ্তাহ পান করুন এই পানীয়।
আদা
১. আদাতে আছে এমন কিছু উপাদান যা গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় করতে সাহায্য করে। আদা খেলে বমি সমস্যা, বদ হজম, গ্যাস হওয়া কমে যায়।
২. আদার রসের সাথে মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। দুপুরে ও রাতে খাওয়ার আগে এটি খেয়ে নিন।
৩. আদা কুচি করে পানি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ১০ মিনিট ডেকে রাখুন, এরপর সামান্য মধু মিশিয়ে চায়ের মতো বানিয়ে নিন। এই পানীয়টি দিনে ২/৩ বার পান করুন উপকারিতা পেতে।
৪. আপনি চাইলে আস্ত আদা ধুয়ে কেটে চিবিয়েও খেতে পারেন।

দই
১. প্রতিদিন ২/৩ চামচ দই খেয়ে নিন।
২. দই আমাদের পাকস্থলীকে `এইচ পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া` থেকে রক্ষা করে যা গ্যাস্ট্রিক হওয়ার অনতম কারণ। তাছাড়া দই আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৩. আপনি চাইলে কলা, দই ও মধু একসাথে পেস্ট করে খেতে পারেন যা দ্রুত গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় ।
আরও পড়ুন: গ্যাস্ট্রিক এর ব্যাথা কোথায় কোথায় হয়?
গ্যাস্ট্রিক দূর করার আরও কিছু ঘরোয়া উপায় :
গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যায় কম-বেশি সবাই ভুগছি। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমরা অ্যান্টাসিডের আশ্রয় নিই। তবে দীর্ঘদিন অ্যান্টাসিড খেলে নানান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এসব ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া সমাধানের দিকে নজর দিন।

লেবুপানি
ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে লেবুপানি খেয়ে দেখতে পারেন। বেশির ভাগ অ্যাসিডিটির সমস্যা এতেই চলে যাবার কথা। লেবুর প্রভাবে আপনার সিস্টেম অ্যালকালাইজড বা ক্ষারীয় হবে, বাড়তি অ্যাসিডের প্রভাব কেটে যাবে। তবে যারা লেবুপানি হজম করতে পারেন না, তারা এটি এড়িয়ে চলবেন।
জিরা ও জোয়ানের পানি
এক লিটার পানিতে এক চা-চামচ জিরা ও এক চা-চামচ কাঁচা জোয়ান ভেজান। সকালে খালি পেটে এই পানিটা ছেঁকে পান করুন। জিরা আর জোয়ান হজমশক্তি বাড়ায়। কমে অ্যাসিডিটির সমস্যা।
মৌরি ভেজানো পানি
এক চা-চামচ মৌরি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে খালি পেটে ছেঁকে খেয়ে নিন। বিশেষ করে গর্ভবতী ও স্তন্যদান করছেন এমন মায়েদের ক্ষেত্রে এই ঘরোয়া সমাধানটি দারুণ কাজের।
ঠান্ডা দুধ
ঠান্ডা দুধের ক্যালশিয়াম বাড়তি অ্যাসিড শোষণ করে নেয়। তাই অনেকেই অ্যাসিডিটির সমস্যায় ঠান্ডা দুধ পান করেন। আপনিও করে দেখতে পারেন। তবে যাদের দুধ হজম করতে সমস্যা হয়, এটা পান করবেন না।
আরও পড়ুন:
পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর উপায়
গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার উপায়
এম.নাসির/৩১