ঢাকা ১০:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুক্তি পেয়েই পরীক্ষার হলে খাদিজা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:২৮:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩ ২১ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ফটো

নিউজ ফর জাস্টিস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই পরীক্ষার হলে খাদিজাতুল কুবরা। জিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় গত বৃহস্পতিবার জামিন পেয়েও কারাগার থেকে মুক্তি পাননি। আজ সকালে মুক্তির পেয়ে বাসায় না গিয়ে না বসেছেন পরীক্ষা দিতে।

আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টায় খাদিজা কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও এদিন সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে তিনি হলে প্রবেশ করেন। দুই সেমিস্টার লস দিয়ে চতুর্থ সেমিস্টারে পরীক্ষায় বসেছেন খাদিজা। গ্রেপ্তারের এক বছর দুই মাস ২৪ দিন পর তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হন।

খাদিজার বোন সিরাজুম মনিরা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খুব সকালে আমরা কারাগারে আসি। তারপর সকাল ৯টায় খাদিজাকে মুক্তি দেয়। খাদিজার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ থেকে। তাই সকাল সাড়ে ১১টায় পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে সে।’

খাদিজার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। জামিনের আদেশ গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়। কিন্তু গতকাল দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর তাকে ছাড়াই ফিরে যায় স্বজনরা।

খাদিজার জাতীয় পরিচয়পত্র ও একাডেমিক কাগজপত্রে বয়স ১৭ বছর কিন্তু তাকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে ২০২০ সালের ১১ ও ১৯ অক্টোবর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ দুটি মামলা করে। এর দুই বছর পর মামলার অভিযোগপত্র তৈরি হলে ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

এজাহারে বলা হয়েছে, বাদী ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর মেজর দেলোয়ার হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলে ‘হিউম্যানিটি ফর বাংলাদেশ’ শিরোনামে এক ভিডিও দেখতে পান। সেখানে সঞ্চালক খাদিজাতুল কুবরার উপস্থাপনায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বাংলাদেশ বৈধ গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।

এতে আরও দেখা যায়, সঞ্চালক খাদিজাতুল কুবরা ও মেজর দেলোয়ার তাদের ইউটিউব চ্যানেল এবং ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজগুলোতে উল্লিখিত ভিডিওগুলো আপলোড করে বাংলাদেশে চলমান স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা তাদের মিথ্যা তথ্যপূর্ণ আলোচনা ইউটিউব, ফেসবুকে প্রচার করে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণকে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়ে তাদের সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত করার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া তারা উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচারের মাধ্যমে সরকারবিরোধী মনোভাব তৈরি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে ও বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ন করছে। এটা ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯, ৩১ ও ৩৫ ধারার অপরাধ বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

এম.নাসির/২০

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মুক্তি পেয়েই পরীক্ষার হলে খাদিজা

আপডেট সময় : ০১:২৮:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই পরীক্ষার হলে খাদিজাতুল কুবরা। জিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় গত বৃহস্পতিবার জামিন পেয়েও কারাগার থেকে মুক্তি পাননি। আজ সকালে মুক্তির পেয়ে বাসায় না গিয়ে না বসেছেন পরীক্ষা দিতে।

আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টায় খাদিজা কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও এদিন সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে তিনি হলে প্রবেশ করেন। দুই সেমিস্টার লস দিয়ে চতুর্থ সেমিস্টারে পরীক্ষায় বসেছেন খাদিজা। গ্রেপ্তারের এক বছর দুই মাস ২৪ দিন পর তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হন।

খাদিজার বোন সিরাজুম মনিরা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খুব সকালে আমরা কারাগারে আসি। তারপর সকাল ৯টায় খাদিজাকে মুক্তি দেয়। খাদিজার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ থেকে। তাই সকাল সাড়ে ১১টায় পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে সে।’

খাদিজার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। জামিনের আদেশ গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়। কিন্তু গতকাল দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর তাকে ছাড়াই ফিরে যায় স্বজনরা।

খাদিজার জাতীয় পরিচয়পত্র ও একাডেমিক কাগজপত্রে বয়স ১৭ বছর কিন্তু তাকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে ২০২০ সালের ১১ ও ১৯ অক্টোবর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ দুটি মামলা করে। এর দুই বছর পর মামলার অভিযোগপত্র তৈরি হলে ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

এজাহারে বলা হয়েছে, বাদী ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর মেজর দেলোয়ার হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলে ‘হিউম্যানিটি ফর বাংলাদেশ’ শিরোনামে এক ভিডিও দেখতে পান। সেখানে সঞ্চালক খাদিজাতুল কুবরার উপস্থাপনায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বাংলাদেশ বৈধ গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।

এতে আরও দেখা যায়, সঞ্চালক খাদিজাতুল কুবরা ও মেজর দেলোয়ার তাদের ইউটিউব চ্যানেল এবং ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজগুলোতে উল্লিখিত ভিডিওগুলো আপলোড করে বাংলাদেশে চলমান স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা তাদের মিথ্যা তথ্যপূর্ণ আলোচনা ইউটিউব, ফেসবুকে প্রচার করে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণকে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়ে তাদের সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত করার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া তারা উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচারের মাধ্যমে সরকারবিরোধী মনোভাব তৈরি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে ও বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ন করছে। এটা ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯, ৩১ ও ৩৫ ধারার অপরাধ বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

এম.নাসির/২০