ঢাকা ১০:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে পোশাক কারখানায় আগুন দিয়েছে শ্রমিকরা

গাজীপুর প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ২৩ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ফটো

নিউজ ফর জাস্টিস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড নামে এক পোশাক কারখানায় আগুন দিয়েছে শ্রমিকরা।

আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, কাশিমপুর রোডে কোনাবাড়ী থানা সংলগ্ন এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় শ্রমিকরা ভাঙচুর করার পর আগুন দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আশরাফ উদ্দিন জানান, উত্তেজিত শ্রমিকরা ওই কারখানায় অগ্নিসংযোগ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

সারাবো ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. তাশারফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে ডিবিএল ও সরাবো ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে তারা কাজ করছে।

এদিকে, বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভের সময় রাসেল হাওলাদার (২৬) নামে এক পোশাক শ্রমিক পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রাসেল স্থানীয় ডিজাইন এক্সপ্রেস লিমিটেড নামে একটি কারখানায় কাজ করতেন। তিনি সেখানকার ইলেক্ট্রিশিয়ান ছিলেন।

রাসেলের সহকর্মী আবু সুফিয়ান জানান, স্থানীয় ৫-৬টি গার্মেন্টসের কর্মীরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। সকালে তাদের কারখানা কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কারখানা থেকে বের হয়ে তারা পায়ে হেঁটে বাসার দিকে রওনা হন। এ সময় পুলিশ গুলি চালায়।

রাসেলের বুকের ডান পাশে ও ডান হাতে গুলি লাগে। প্রথমে স্থানীয় পরে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেলে নেওয়া হয় তাকে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢামেকে নেওয়া হয়।

রাসেলের চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রে (টিকেট) ঢামেকের চিকিৎসক ‘গুলিতে মৃত্যু’ বলে উল্লেখ করেছেন। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিক উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রায়েছে।

এম.নাসির/৩০

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

গাজীপুরে পোশাক কারখানায় আগুন দিয়েছে শ্রমিকরা

আপডেট সময় : ০৮:৫৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড নামে এক পোশাক কারখানায় আগুন দিয়েছে শ্রমিকরা।

আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, কাশিমপুর রোডে কোনাবাড়ী থানা সংলগ্ন এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় শ্রমিকরা ভাঙচুর করার পর আগুন দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আশরাফ উদ্দিন জানান, উত্তেজিত শ্রমিকরা ওই কারখানায় অগ্নিসংযোগ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

সারাবো ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. তাশারফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে ডিবিএল ও সরাবো ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে তারা কাজ করছে।

এদিকে, বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভের সময় রাসেল হাওলাদার (২৬) নামে এক পোশাক শ্রমিক পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রাসেল স্থানীয় ডিজাইন এক্সপ্রেস লিমিটেড নামে একটি কারখানায় কাজ করতেন। তিনি সেখানকার ইলেক্ট্রিশিয়ান ছিলেন।

রাসেলের সহকর্মী আবু সুফিয়ান জানান, স্থানীয় ৫-৬টি গার্মেন্টসের কর্মীরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। সকালে তাদের কারখানা কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কারখানা থেকে বের হয়ে তারা পায়ে হেঁটে বাসার দিকে রওনা হন। এ সময় পুলিশ গুলি চালায়।

রাসেলের বুকের ডান পাশে ও ডান হাতে গুলি লাগে। প্রথমে স্থানীয় পরে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেলে নেওয়া হয় তাকে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢামেকে নেওয়া হয়।

রাসেলের চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রে (টিকেট) ঢামেকের চিকিৎসক ‘গুলিতে মৃত্যু’ বলে উল্লেখ করেছেন। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিক উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রায়েছে।

এম.নাসির/৩০