ইসলাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত,
২৫ মার্কিন নাগরিক নিহত, নিখোঁজ ১৫

- আপডেট সময় : ০১:২৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩ ২১ বার পড়া হয়েছে

ইসলাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের নবম দিন আজ। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২৯
জন মার্কিন নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ১৫ জন মার্কিন নাগরিক নিখোঁজ রয়েছে বলেও জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র শনিবার নিশ্চিত করেছেন যে, ইসরায়েলে হামাসের হামলায়
যুক্তরাষ্ট্রের ২৯ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। এর আগে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর সঙ্গে ইসরায়েলের সহিংসতায় ২৭ জন মার্কিন
নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছিল।
অন্যদিকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ২২০০ ছাড়িয়েছে বলেও জানিয়েছে রয়টার্স।
রয়টার্স বলছে, এর আগে ইসরাইল-হামাস সংঘাতের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গত এক সপ্তাহে অন্তত ১২ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও
আটজন। এছাড়া এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত দুজন সাংবাদিক। এর আগে গত বুধবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি গণমাধ্যমকে
বলেন, ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের অভূতপূর্ব হামলার সময় বন্দি হওয়া আনুমানিক ১৫০ জন ব্যক্তির মধ্যে মুষ্টিমেয় মার্কিন নাগরিক রয়েছেন।
কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মুহূর্তে, যে সংখ্যাটি আমরা জানি বা আমরা বিশ্বাস করি যে, বন্দি করা হয়েছে তা খুব ছোট, খুব ছোট, মুষ্টিমেয় থেকেও কম। কিন্তু
সময়ের সাথে সাথে এটি পরিবর্তিত হতে পারে।’
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই মুখপাত্র বলেছেন, ১৫ মার্কিন নাগরিক ও যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ এক স্থায়ী বাসিন্দার কোনো খোঁজ পাওয়া
যাচ্ছে না এবং তাদের সন্ধান পেতে অব্যাহতভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই মুখপাত্র আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বন্দি সংকটের বিষয়ে ইসরাইলি সরকারের সঙ্গে কাজ করছে, যার মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদান-
প্রদানের মতো বিষয়ও রয়েছে।
এর আগে হামাস-ইসরাইলের সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার পর পরই ইসরাইল উপকূলে বিমানবাহী রণতরী পাঠানোর কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। গত রোববার
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জানায়, তারা মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড এবং এর সঙ্গে থাকা অন্য যুদ্ধ
জাহাজগুলোকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পাঠাচ্ছে।
মার্কিন নৌবাহিনীর সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পৌঁছে যাওয়ার পর মার্কিন সামরিক
বাহিনী দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস ডোয়াইট ডি আইজেনহাওয়ারকে এবার ইসরাইলের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর (শুক্রবার ) রাতে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী স্বশস্ত্র বাহিনী হামাস। অন্যদিকে হামাস
বাহিনীর প্রতিরোধে শনিবার (৭ অক্টোবর) বিপুল সংখ্যক সৈন্য জড়ো করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এই সংঘাতের প্রেক্ষিতে ইসলায়েলি বাহিনীর
পক্ষে মার্কিন নৌবাহিনীর সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড এবং যুদ্ধ বিমান পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। এর পর থেকে টানা ৮
দিন গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা অব্যাহত রাখে ইসরায়েলের সেনা বাহিনী।
গতকাল শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয় দফায় সর্বাত্মক হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনা বাহিনী। এবার দ্বিতীয় দফায়
মার্কিন সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষে দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস ডোয়াইট ডি আইজেনহাওয়ারকে ইসরাইলের দিকে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র : রয়টার্স
এএমএন/১৫