ঢাকা ১০:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

‘সব পক্ষের হাতই ট্রিগারে আছে’, ইসরাইলকে ইরানের হুঁশিয়ারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:১৬:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ২৬ বার পড়া হয়েছে
নিউজ ফর জাস্টিস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। ইসরাইলের উপর গত ৬ অক্টোবর (শুক্রবার) রাতে

হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এর পর থেকেই গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে

ইসরায়েলি বাহিনী।

এরই মধ্যে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী স্বশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের খোঁজে গাজা ভূখণ্ডে

স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। হামাসের হামলার পর গাজায় স্থল অভিযান চালাতে

ইসরায়েলকে সবুজ সংকেত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার

প্রতিশোধ নিতে যে কোনো সময় গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান শুরু করতে পারে ইসরায়েল।

এই পরিস্থিতিতে রোববার (১৫ অক্টোবর) ইসরায়েলকে হুমকি দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ান।

মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ ইরান ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেছে, তারা (ইসরাইল) ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে

আগ্রাসন বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে আঞ্চলিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহহিয়ান বলেছেন, যদি ইহুদিবাদী আগ্রাসন বন্ধ না হয়,

তা হলে এই অঞ্চলের সব পক্ষের হাতই ট্রিগারে আছে।

ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত শহরগুলোতে নজিরবিহীন হামলা চালানো ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী

হামাসের যোদ্ধাদের খোঁজে গাজা ভূখণ্ডে স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।

এই অভিযানকে সামনে রেখে রোববার হামাসকে ধ্বংস করার প্রত্যয় জানিয়েছেন

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

মঙ্গলবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইসরাইলে হামাসের আক্রমণের সঙ্গে

তেহরান জড়িত ছিল না বলে জানিয়েছেন। কিন্তু এ ঘটনাকে তিনি ইসরাইলের অপূরণীয় সামরিক ও

গোয়েন্দা পরাজয় বলে অভিহিত করেছেন।

হামাসকে অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে ইরানের ধর্মীয় শাসকরা সহিংসতা ছড়াচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরে

অভিযোগ করে আসছে ইসরাইল। আর ইরান বলছে, তারা গাজা ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণকারী হামাসকে নৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন দেয়।

আমিরাব্দুল্লাহ গত সপ্তাহে ইসরাইলকে অভিযুক্ত করে বলেছিলেন, গাজা ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে

অবরোধ জোরদার করে তারা গণহত্যা করতে চাইছে। গাজায় হামলা হলে তা মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিরোধের

নতুন ক্ষেত্র খুলবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

আমিরাব্দুল্লাহ বলেন, ‘এই অঞ্চলে প্রতিরোধ লড়াইয়ের নতুন নতুন ক্ষেত্র খোলার ও

আজকের লড়াই ছড়িয়ে পড়ার দায়দায়িত্ব সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদিবাদী শাসনের (ইসরাইল) ওপরে পড়বে।’

আমিরাব্দুল্লাহ শনিবার কাতারে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

তারা ইসরাইলে হামাসের আক্রমণ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটির লক্ষ্য অর্জনে সহযোগিতা

অব্যাহত রাখার বিষয়ে একমত হয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হামাস।

এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে

এক টেলিফোন আলাপে ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়ন প্রতিরোধে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন বলে

খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর (শুক্রবার) রাতে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক স্থাপনা

লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছোড়া শুরু করে হামাস। হামাস বাহিনীর এই হামলা প্রতিরোধে

শনিবার (৭ অক্টোবর) বিপুল সংখ্যক সৈন্য জড়ো করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।

বড় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয় তারা।

এর পর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা অব্যাহত রাখে ইসরায়েলের সেনা বাহিনী।

ইসরাইল ফিলিস্তিনি যুদ্ধ আজ দশম দিনে গড়িয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স

এএমএন/১৬

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

‘সব পক্ষের হাতই ট্রিগারে আছে’, ইসরাইলকে ইরানের হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় : ০৪:১৬:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। ইসরাইলের উপর গত ৬ অক্টোবর (শুক্রবার) রাতে

হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এর পর থেকেই গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে

ইসরায়েলি বাহিনী।

এরই মধ্যে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী স্বশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের খোঁজে গাজা ভূখণ্ডে

স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। হামাসের হামলার পর গাজায় স্থল অভিযান চালাতে

ইসরায়েলকে সবুজ সংকেত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার

প্রতিশোধ নিতে যে কোনো সময় গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান শুরু করতে পারে ইসরায়েল।

এই পরিস্থিতিতে রোববার (১৫ অক্টোবর) ইসরায়েলকে হুমকি দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ান।

মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ ইরান ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেছে, তারা (ইসরাইল) ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে

আগ্রাসন বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে আঞ্চলিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহহিয়ান বলেছেন, যদি ইহুদিবাদী আগ্রাসন বন্ধ না হয়,

তা হলে এই অঞ্চলের সব পক্ষের হাতই ট্রিগারে আছে।

ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত শহরগুলোতে নজিরবিহীন হামলা চালানো ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী

হামাসের যোদ্ধাদের খোঁজে গাজা ভূখণ্ডে স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।

এই অভিযানকে সামনে রেখে রোববার হামাসকে ধ্বংস করার প্রত্যয় জানিয়েছেন

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

মঙ্গলবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইসরাইলে হামাসের আক্রমণের সঙ্গে

তেহরান জড়িত ছিল না বলে জানিয়েছেন। কিন্তু এ ঘটনাকে তিনি ইসরাইলের অপূরণীয় সামরিক ও

গোয়েন্দা পরাজয় বলে অভিহিত করেছেন।

হামাসকে অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে ইরানের ধর্মীয় শাসকরা সহিংসতা ছড়াচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরে

অভিযোগ করে আসছে ইসরাইল। আর ইরান বলছে, তারা গাজা ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণকারী হামাসকে নৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন দেয়।

আমিরাব্দুল্লাহ গত সপ্তাহে ইসরাইলকে অভিযুক্ত করে বলেছিলেন, গাজা ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে

অবরোধ জোরদার করে তারা গণহত্যা করতে চাইছে। গাজায় হামলা হলে তা মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিরোধের

নতুন ক্ষেত্র খুলবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

আমিরাব্দুল্লাহ বলেন, ‘এই অঞ্চলে প্রতিরোধ লড়াইয়ের নতুন নতুন ক্ষেত্র খোলার ও

আজকের লড়াই ছড়িয়ে পড়ার দায়দায়িত্ব সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদিবাদী শাসনের (ইসরাইল) ওপরে পড়বে।’

আমিরাব্দুল্লাহ শনিবার কাতারে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

তারা ইসরাইলে হামাসের আক্রমণ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটির লক্ষ্য অর্জনে সহযোগিতা

অব্যাহত রাখার বিষয়ে একমত হয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হামাস।

এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে

এক টেলিফোন আলাপে ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়ন প্রতিরোধে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন বলে

খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর (শুক্রবার) রাতে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক স্থাপনা

লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছোড়া শুরু করে হামাস। হামাস বাহিনীর এই হামলা প্রতিরোধে

শনিবার (৭ অক্টোবর) বিপুল সংখ্যক সৈন্য জড়ো করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।

বড় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয় তারা।

এর পর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা অব্যাহত রাখে ইসরায়েলের সেনা বাহিনী।

ইসরাইল ফিলিস্তিনি যুদ্ধ আজ দশম দিনে গড়িয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স

এএমএন/১৬