রমজান উপলক্ষে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নিত্যপণ্যের মূল্যছাড়

- আপডেট সময় : ০৯:৪৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩ ২৪ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আসছে মুসলিম উম্মাহর পবিত্র মাস রমজান। বাংলাদেশে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে এরইমধ্যে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। অথচ বিপরীত চিত্র আরব দেশগুলোতে। সিয়াম সাধনার এই মাসে প্রতিবছর নিত্যপণ্যের দাম কমানো হয় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। সেই সাথে রোজাদারদের সুবিদার্থে নেয়া হয় নানা উদ্যোগ।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ১৯০ কোটি মুসলমান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় মাসভর সিয়াম সাধনা করে। রমজানকে মহিমান্বিত করতে বরাবরই মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সরকারি বা প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে মূল্যছাড়ের ব্যবস্থা করা হয়। ক্রয়ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে দেশগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানোর ঘোষণা এবং সেগুলোর মূল্য তালিকা দোকানের সামনে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় ১০ হাজার পণ্যের ওপর ছাড় দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হাইপার মার্কেট ও সুপার মার্কেটগুলো। রোজার ১০দিন আগ থেকেই ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে এসব পণ্য সংগ্রহ করতে পারবে দেশটির বাসিন্দারা। এছাড়া পণ্যের মজুত ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে কিছু প্রতিষ্ঠান। ক্রেতাদের সুবিধার্থে চালু করা হচ্ছে অনলাইন স্টোর ও অ্যাপ।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এ বছর রোজা শুরু হতে পারে ২৩শে মার্চ। তার ১০দিন আগ থেকেই বিশেষ মূল্যছাড়ে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে কাতার। নয় শতাধিক পণ্যে মাসব্যাপী এই ছাড় থাকবে।দেশটির বড় বড় খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানিয়েছে কাতার সরকার।
রমজান উপলক্ষ্যে তিন মাসজুড়ে খাদ্যপণ্যে ছাড় দিয়েছে মিশর। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ছাড়ে ময়দা, মাংস এবং পাস্তা কিনতে পারবে মিশরবাসী। মূল্যছাড় দেয়া শুরু করেছে সৌদির বড় বড় চেইন শপিংমলও। ১০ থেকে ৫০ শতাংশ মূল্য ছাড়ের এই সংবাদ ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে বিজ্ঞাপণ।
একই দৃশ্য মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ ওমানে। ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমানো হয়েছে প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এছাড়া খাদ্যপণ্যের গুণমান ও স্টোরেজ সুবিধা নিশ্চিত করতে বিশেষ নজরদারি রাখছে মাস্কাট মিউনিসিপ্যালিটি। রমজান উপলক্ষ্যে মূল্যছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়ার শপিংমলগুলোও।