তোপের মুখে ব্লিঙ্কেন

- আপডেট সময় : ০৬:১০:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩ ৩৫ বার পড়া হয়েছে

অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে আরব দেশগুলো। তবে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করছে যে যুদ্ধবিরতি হলে হামাস পুনরায় সংগঠিত হবে, এবং আবারো ৭ অক্টোবরের মতো হামলা চালাতে পারে সংগঠনটি। সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র এখন গাজায় কোন যুদ্ধবিরতি চায় না। তবে দেশটি যুদ্ধে মানবিক বিরতির আহ্বান জানিয়েছে। এ জন্য আরব নেতাদের তোপের মুখে পড়েন ব্লিঙ্কেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরাইল সফরের পর শনিবার জর্ডানের রাজধানী আম্মানে লেবানন, কাতার, জর্ডান, মিসর, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন।
বিবিসি জানিয়েছে, সেখানে আরব নেতাদের তোপের মুখে পড়েন ব্লিঙ্কেন।
জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন, মানুষ হিসাবে, আমরা এই হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে পারি না। …এই হত্যাকাণ্ড আর ধ্বংসযজ্ঞকে আমরা কীভাবে ন্যায্য বলে মেনে নিতে পারি? এটা কোন আত্মরক্ষা হতে পারে না।
সাফাদি সতর্ক করে বলেন, কোন অজুহাতে এই হামলাকে ন্যায়সঙ্গত করা যাবে না এবং এটি ইসরাইলে নিরাপত্তা আনবে না, ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে না।
মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শুকরি গাজায় কোনো শর্ত ছাড়াই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে দ্বিমুখী আচরণ থেকে সরে আসতে বলেন। তবে ব্লিংকেন যুদ্ধবিরতির পরিবর্তে যুদ্ধে মানবিক বিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
তার মতে, এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি অর্জনের বিষয়ে আরব নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র একমত না হলেও তাদের লক্ষ্য একই।
ইসরাইলের সঙ্গে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে সহিংসতা নিয়ে আলোচনা করতে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সাথেও দেখা করেছেন।
ওই সীমান্ত এলাকায় হেজবুল্লাহ এবং ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর মধ্যে লড়াই অব্যাহত রয়েছে।
এরমধ্যে রোববার দুই দিনের সফরে তুরস্কে যাচ্ছেন ব্লিংকেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে সংঘাতের বিষয়ে তার আলোচনার কথা রয়েছে।
ব্লিংকেন মূলত তথাকথিত ‘মানবিক বিরতি’র বিষয়ে আরবের নেতাদের সঙ্গে কাজ করছেন এবং শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও জানিয়েছেন যে এ বিষয়ে কিছু অগ্রগতি হয়েছে।
গত সপ্তাহে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান হামাসকে ‘মুক্তিবাহিনী’ বলে অভিহিত করেছেন এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধের’ অভিযোগ এনেছেন।
প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল তাদের ভূখণ্ড থেকে তুরস্কের কূটনীতিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আবারও মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন
এম.নাসির/৫