ঢাকা ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গাজা সিটি

আল শিফা হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ ইসরাইলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:০৯:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ২৯ বার পড়া হয়েছে

-আল শিফা হাসপাতাল

নিউজ ফর জাস্টিস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজা সিটিতে সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফায় ইসরাইলি বাহিনী অভিযান চালানোর সময় ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এই হাসপাতালে অবস্থান করছেন কয়েক হাজার রোগী, চিকিৎসক, স্টাফ এবং বাস্তুচ্যুত মানুষ। তারা সেখানে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন।

শেষ খবরে বলা হয়েছে-হাসপাতালটির একজন চিকিৎসক বলেছেন, ১ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতাল খালি করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এ খবর দিয়েছে অনলাইন-আল জাজিরা। অপরদিকে, গাজার দক্ষিণে খান ইউনূস এলাকায় ইসরাইলের বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ২৬ ফিলিস্তিনি। এর বেশির ভাগই শিশু।

আরো জানা গেছে, সাধারণত লোকজন দক্ষিণে সরে যাওয়ার জন্য এই রুটটি ব্যবহার করেন না। তারা ব্যবহার করেন সালাহ আল-দিন সড়ক। তা সত্ত্বেও তাদেরকে ১ ঘণ্টা সময় দেয়া হয়েছে হাসপাতাল খালি করে দিতে। ওই চিকিৎসক আরও বলেছেন, ১ ঘণ্টার মধ্যে সব মানুষকে সরিয়ে নিয়ে হাসপাতাল খালি করা অসম্ভব। কারণ রোগী ও অপরিণত শিশুদেরকে বহন করার মতো পর্যাপ্ত এম্বুলেন্স তাদের নেই। তিনি এ অবস্থাকে আরেক সঙ্কট বলে অভিহিত করেন।

আল শিফা হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ ইসরাইলের
– আল শিফা হাসপাতালের ভেতরের দৃশ্য

ওদিকে জাতিসংঘ বলেছে, বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে ১১ই নভেম্বর থেকে এই হাসপাতালে কমপক্ষে ৪০ জন রোগী মারা গেছেন। এর মধ্যে আছে অপরিণত ৪টি শিশু। হাসপাতালটির প্রশাসকরা এসব তথ্য দিয়েছেন।
এছাড়া পানি এবং ধোয়া-মোছার কাজে ব্যবহারের জন্য প্রতিদিন গাজায় ২ ট্রাক জ্বালানি প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইল। সহায়তা বিষয়ক গ্রুপগুলো বলছে, চাহিদার তুলনায় এই পরিমাণ খুবই সামান্য।

তবে এই অনুমতি দেয়ারও বিরোধিতা করেছে ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ও উগ্রবাদী ইতামার বেন গাভির ও কয়েকজন নেতা। তিনি একে ইসরাইলের ভুল নীতি বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, যতক্ষণ জিম্মিদের মুক্তি না দেবে হামাস, ততক্ষণ শত্রুদের মানবিক উপহার দেয়ার কোনো অর্থ হয় না।

অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সেখানে নানা রকম রোগ ছড়িয়ে পড়া এবং মানুষ অনাহারী থাকায় মানবিক সঙ্কট আরও বিস্তৃত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনপন্থি কোনো বক্তব্য ব্যবহার করলে এক্স (সাবেক টুইটার) একাউন্ট ব্যবহারকারীদের সাসপেন্ড করার হুমকি দিয়েছেন ইলন মাস্ক।

আল জাজিরার সাংবাদিক খান ইউনুস এলাকা থেকে বলছেন, আল শিফা হাসপাতালের ভিতরে থাকা একজন চিকিৎসকের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। ওই চিকিৎসক তাকে জানিয়েছেন যে, আল রশিদ সড়ক ধরে আল শিফা হাসপাতালের প্রতিজন মানুষকে সরে যাওয়ার জন্য ঠিক এক ঘণ্টা সময় দিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।

আরও পড়ুন: গাজার আল শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি সেনা

/আবদুর রহমান খান/

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

গাজা সিটি

আল শিফা হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ ইসরাইলের

আপডেট সময় : ০৩:০৯:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

গাজা সিটিতে সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফায় ইসরাইলি বাহিনী অভিযান চালানোর সময় ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এই হাসপাতালে অবস্থান করছেন কয়েক হাজার রোগী, চিকিৎসক, স্টাফ এবং বাস্তুচ্যুত মানুষ। তারা সেখানে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন।

শেষ খবরে বলা হয়েছে-হাসপাতালটির একজন চিকিৎসক বলেছেন, ১ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতাল খালি করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এ খবর দিয়েছে অনলাইন-আল জাজিরা। অপরদিকে, গাজার দক্ষিণে খান ইউনূস এলাকায় ইসরাইলের বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ২৬ ফিলিস্তিনি। এর বেশির ভাগই শিশু।

আরো জানা গেছে, সাধারণত লোকজন দক্ষিণে সরে যাওয়ার জন্য এই রুটটি ব্যবহার করেন না। তারা ব্যবহার করেন সালাহ আল-দিন সড়ক। তা সত্ত্বেও তাদেরকে ১ ঘণ্টা সময় দেয়া হয়েছে হাসপাতাল খালি করে দিতে। ওই চিকিৎসক আরও বলেছেন, ১ ঘণ্টার মধ্যে সব মানুষকে সরিয়ে নিয়ে হাসপাতাল খালি করা অসম্ভব। কারণ রোগী ও অপরিণত শিশুদেরকে বহন করার মতো পর্যাপ্ত এম্বুলেন্স তাদের নেই। তিনি এ অবস্থাকে আরেক সঙ্কট বলে অভিহিত করেন।

আল শিফা হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ ইসরাইলের
– আল শিফা হাসপাতালের ভেতরের দৃশ্য

ওদিকে জাতিসংঘ বলেছে, বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে ১১ই নভেম্বর থেকে এই হাসপাতালে কমপক্ষে ৪০ জন রোগী মারা গেছেন। এর মধ্যে আছে অপরিণত ৪টি শিশু। হাসপাতালটির প্রশাসকরা এসব তথ্য দিয়েছেন।
এছাড়া পানি এবং ধোয়া-মোছার কাজে ব্যবহারের জন্য প্রতিদিন গাজায় ২ ট্রাক জ্বালানি প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইল। সহায়তা বিষয়ক গ্রুপগুলো বলছে, চাহিদার তুলনায় এই পরিমাণ খুবই সামান্য।

তবে এই অনুমতি দেয়ারও বিরোধিতা করেছে ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ও উগ্রবাদী ইতামার বেন গাভির ও কয়েকজন নেতা। তিনি একে ইসরাইলের ভুল নীতি বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, যতক্ষণ জিম্মিদের মুক্তি না দেবে হামাস, ততক্ষণ শত্রুদের মানবিক উপহার দেয়ার কোনো অর্থ হয় না।

অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সেখানে নানা রকম রোগ ছড়িয়ে পড়া এবং মানুষ অনাহারী থাকায় মানবিক সঙ্কট আরও বিস্তৃত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনপন্থি কোনো বক্তব্য ব্যবহার করলে এক্স (সাবেক টুইটার) একাউন্ট ব্যবহারকারীদের সাসপেন্ড করার হুমকি দিয়েছেন ইলন মাস্ক।

আল জাজিরার সাংবাদিক খান ইউনুস এলাকা থেকে বলছেন, আল শিফা হাসপাতালের ভিতরে থাকা একজন চিকিৎসকের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। ওই চিকিৎসক তাকে জানিয়েছেন যে, আল রশিদ সড়ক ধরে আল শিফা হাসপাতালের প্রতিজন মানুষকে সরে যাওয়ার জন্য ঠিক এক ঘণ্টা সময় দিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।

আরও পড়ুন: গাজার আল শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি সেনা

/আবদুর রহমান খান/