ঢাকা ১১:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আবারও যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩ ১৪ বার পড়া হয়েছে
নিউজ ফর জাস্টিস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চার দেশের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা ও চুক্তি থেকে আফ্রিকার ওই চার দেশকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

দেশগুলো হলো- উগান্ডা, গ্যাবন, নাইজার ও মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে অবক্ষয় ও অনগ্রসরতার পাশাপাশি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এই চার দেশের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে দেশটি।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ নিজের অ্যাকাউন্টে এ তথ্য জানান।

জো বাইডেন বলেন, নাইজার ও গ্যাবন উভয় দেশই চলতি বছরে সেনা অভ্যুত্থানের পর বর্তমানে সামরিক শাসনের অধীন। তাই দুই দেশই অ্যাগোয়া চুক্তির জন্য আর যোগ্য নয়। কারণ এই দেশ দুটি রাজনৈতিক বহুত্ববাদ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ধারাবাহিক অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।

মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র ও উগান্ডাকে বাণিজ্যচুক্তি থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে বাইডেন বলেন, এ দেশ দুটির সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকারের মানদণ্ড চরমভাবে লঙ্ঘন করেছে।

চলতি বছর মে মাসে মার্কিন ফেডারেল সরকার জানিয়েছিল, উগান্ডা সমলিঙ্গবিরোধী আইন পাস করায় তারা দেশটির ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার চিন্তাভাবনা করছে। পাশাপাশি অ্যাগোয়া থেকে দেশটিকে বহিষ্কারের কথাও ভাবছে ওয়াশিংটন।

ওই আইনে বলা হয়েছে, সমলৈঙ্গিক সম্পর্কে কেউ জড়িত হলে প্রমাণ সাপেক্ষে তাকে বা তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।

সংবাদমাধ্যম টিআরটি আফ্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০০ সালে আফ্রিকা মহাদেশের এ দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়ন জোরদার ও সহযোগিতা করতে আফ্রিকার গ্রোথ অ্যান্ড অপরচুনিটি অ্যাক্ট (অ্যাগোয়া) করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই চুক্তির আওতায় এই চার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সুবিধা পেয়ে আসছিল। এ সুবিধার আওতায় সাব-সাহারা অঞ্চলের দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রে বিনা শুল্কে এক হাজার ৮ শতাধিক পণ্য রপ্তানি করতে পারত।

আরও পড়ুন:

বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা আসার আশঙ্কা নেই : বিজিএমইএ

সূত্র : টিআরটি আফ্রিকা

এএমএন/০১

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আবারও যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় : ০৫:৪৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

চার দেশের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা ও চুক্তি থেকে আফ্রিকার ওই চার দেশকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

দেশগুলো হলো- উগান্ডা, গ্যাবন, নাইজার ও মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে অবক্ষয় ও অনগ্রসরতার পাশাপাশি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এই চার দেশের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে দেশটি।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ নিজের অ্যাকাউন্টে এ তথ্য জানান।

জো বাইডেন বলেন, নাইজার ও গ্যাবন উভয় দেশই চলতি বছরে সেনা অভ্যুত্থানের পর বর্তমানে সামরিক শাসনের অধীন। তাই দুই দেশই অ্যাগোয়া চুক্তির জন্য আর যোগ্য নয়। কারণ এই দেশ দুটি রাজনৈতিক বহুত্ববাদ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ধারাবাহিক অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।

মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র ও উগান্ডাকে বাণিজ্যচুক্তি থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে বাইডেন বলেন, এ দেশ দুটির সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকারের মানদণ্ড চরমভাবে লঙ্ঘন করেছে।

চলতি বছর মে মাসে মার্কিন ফেডারেল সরকার জানিয়েছিল, উগান্ডা সমলিঙ্গবিরোধী আইন পাস করায় তারা দেশটির ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার চিন্তাভাবনা করছে। পাশাপাশি অ্যাগোয়া থেকে দেশটিকে বহিষ্কারের কথাও ভাবছে ওয়াশিংটন।

ওই আইনে বলা হয়েছে, সমলৈঙ্গিক সম্পর্কে কেউ জড়িত হলে প্রমাণ সাপেক্ষে তাকে বা তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।

সংবাদমাধ্যম টিআরটি আফ্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০০ সালে আফ্রিকা মহাদেশের এ দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়ন জোরদার ও সহযোগিতা করতে আফ্রিকার গ্রোথ অ্যান্ড অপরচুনিটি অ্যাক্ট (অ্যাগোয়া) করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই চুক্তির আওতায় এই চার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সুবিধা পেয়ে আসছিল। এ সুবিধার আওতায় সাব-সাহারা অঞ্চলের দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রে বিনা শুল্কে এক হাজার ৮ শতাধিক পণ্য রপ্তানি করতে পারত।

আরও পড়ুন:

বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা আসার আশঙ্কা নেই : বিজিএমইএ

সূত্র : টিআরটি আফ্রিকা

এএমএন/০১