ঢাকা ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অবরুদ্ধ গাজায় ঢুকল ত্রাণবাহী ট্রাকের তৃতীয় বহর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৪০:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ১৯ বার পড়া হয়েছে
নিউজ ফর জাস্টিস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দ্বিতীয় সপ্তাহ ছাড়িয়ে তৃতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত। গত ১৬ দিন ধরেই চলছে টানা হামলা-পাল্টা হামলা। এই যুদ্ধ পরিস্থিতি আজ ১৭তম দিনে পৌঁছেছে।

এরই মধ্যে মিসর থেকে গাজায় প্রবেশ করেছে ত্রাণের ট্রাকের তৃতীয় বহর।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাফাহ ক্রসিংয়ে অবস্থানরত একজন ত্রাণকর্মী ও দুটি নিরাপত্তা সূত্র মিসর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের তথ্য নিশ্চত করেছেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের গাজায় ত্রাণসামগ্রী প্রবেশের অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানানোর পর শনিবার প্রথম দফায় ত্রাণবাহী ২০টি ট্রাক অবরুদ্ধ উপত্যকায় প্রবেশ করে।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় অব্যাহত থাকার ফলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়কর তৈরি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর মাঝেই গত কয়েকদিন ধরে গাজার সাথে মিসরের একমাত্র সীমান্ত রাফাহ ক্রসিংয়ে মিসরের প্রান্তে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আটকা পড়েছে অনেক ট্রাক।

গাজার প্রধান ক্রসিং রাফাহ। আর এই ক্রসিংয়ের সাথে ইসরায়েলের সীমান্ত নেই। গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অন্যতম পথ হয়ে উঠেছে রাফাহ।

ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার কারণে সীমান্তের ওপারে মিসরীয় ভূখণ্ড থেকে ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো এতদিন গাজায় প্রবেশ করতে পারেনি। গত শনিবার প্রথমবারের মতো ২০টি ট্রাক ত্রাণসামগ্রী নিয়ে গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করে। পরে রোববার আরও ১৪টি ত্রাণের ট্রাক গাজায় পৌঁছায়।

গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় এড়াতে আরও শত শত ত্রাণের ট্রাকের প্রয়োজন জানিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে রাফাহ ক্রসিংয়ে হামলা বন্ধের আহ্বান জানান। এরপরই সোমবার ত্রাণবাহী কয়েকটি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে বলে সেখানকার দাতব্যকর্মী ও নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে।

জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলেছেন, গাজায় প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন প্রায় ১০০টি ট্রাকের প্রয়োজন। ২৩ লাখ মানুষের অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় খাদ্য, পানি এবং জ্বালানির মজুত দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।

গত ৬ অক্টোবর (শুক্রবার) দিনগত ভোররাতে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছোড়া শুরু করে হামাস। হামাস বাহিনীর প্রতিরোধে শনিবার (৭ অক্টোবর) বিপুল সংখ্যক সৈন্য জড়ো করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এর পর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা অব্যাহত রাখে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামাসও পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইসরায়েলের উপর হামাসের এই হামলার পর থেকেই উপত্যকায় ‘সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ’ ঘোষণা করে ইসরায়েল। এরপর মিসরীয় কর্তৃপক্ষ রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেয়।

সূত্র: রয়টার্স।

এএমএন/২৩

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

অবরুদ্ধ গাজায় ঢুকল ত্রাণবাহী ট্রাকের তৃতীয় বহর

আপডেট সময় : ০৭:৪০:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

দ্বিতীয় সপ্তাহ ছাড়িয়ে তৃতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত। গত ১৬ দিন ধরেই চলছে টানা হামলা-পাল্টা হামলা। এই যুদ্ধ পরিস্থিতি আজ ১৭তম দিনে পৌঁছেছে।

এরই মধ্যে মিসর থেকে গাজায় প্রবেশ করেছে ত্রাণের ট্রাকের তৃতীয় বহর।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাফাহ ক্রসিংয়ে অবস্থানরত একজন ত্রাণকর্মী ও দুটি নিরাপত্তা সূত্র মিসর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের তথ্য নিশ্চত করেছেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের গাজায় ত্রাণসামগ্রী প্রবেশের অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানানোর পর শনিবার প্রথম দফায় ত্রাণবাহী ২০টি ট্রাক অবরুদ্ধ উপত্যকায় প্রবেশ করে।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় অব্যাহত থাকার ফলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়কর তৈরি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর মাঝেই গত কয়েকদিন ধরে গাজার সাথে মিসরের একমাত্র সীমান্ত রাফাহ ক্রসিংয়ে মিসরের প্রান্তে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আটকা পড়েছে অনেক ট্রাক।

গাজার প্রধান ক্রসিং রাফাহ। আর এই ক্রসিংয়ের সাথে ইসরায়েলের সীমান্ত নেই। গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অন্যতম পথ হয়ে উঠেছে রাফাহ।

ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার কারণে সীমান্তের ওপারে মিসরীয় ভূখণ্ড থেকে ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো এতদিন গাজায় প্রবেশ করতে পারেনি। গত শনিবার প্রথমবারের মতো ২০টি ট্রাক ত্রাণসামগ্রী নিয়ে গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করে। পরে রোববার আরও ১৪টি ত্রাণের ট্রাক গাজায় পৌঁছায়।

গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় এড়াতে আরও শত শত ত্রাণের ট্রাকের প্রয়োজন জানিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে রাফাহ ক্রসিংয়ে হামলা বন্ধের আহ্বান জানান। এরপরই সোমবার ত্রাণবাহী কয়েকটি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে বলে সেখানকার দাতব্যকর্মী ও নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে।

জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলেছেন, গাজায় প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন প্রায় ১০০টি ট্রাকের প্রয়োজন। ২৩ লাখ মানুষের অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় খাদ্য, পানি এবং জ্বালানির মজুত দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।

গত ৬ অক্টোবর (শুক্রবার) দিনগত ভোররাতে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছোড়া শুরু করে হামাস। হামাস বাহিনীর প্রতিরোধে শনিবার (৭ অক্টোবর) বিপুল সংখ্যক সৈন্য জড়ো করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এর পর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা অব্যাহত রাখে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামাসও পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইসরায়েলের উপর হামাসের এই হামলার পর থেকেই উপত্যকায় ‘সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ’ ঘোষণা করে ইসরায়েল। এরপর মিসরীয় কর্তৃপক্ষ রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেয়।

সূত্র: রয়টার্স।

এএমএন/২৩