ঢাকা ১০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন

ডিম-আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে দাম কমাতে

মোঃ জুনাইদ হোসাইন
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৯:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ২৫ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ফটো

নিউজ ফর জাস্টিস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন। দেশের জনস্বার্থে ও বাজারে দাম কমাতেই ডিম এবং আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এমন কথা বলেন তিনি।

সচিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায়, গত বছর সয়াবিন তেলের দাম এক পর্যায়ে প্রতি লিটার ২০৫ টাকা হয়ে যায়। সেটি ধাপে ধাপে কমিয়ে সর্বশেষ এক লিটারের বোতলজাত তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করে বিক্রি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারের দাম ওঠানামার সঙ্গে মিল রেখে তেল-চিনির দাম সমন্বয় করা হয়।

আলো ও ডিম সম্পর্কে:

সবসময়ে আলু রপ্তানী করা হতো এবং ডিম আমদানি বন্ধ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাম চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। সেই যোগানের উৎস হলো দেশের উৎপাদন ও আমদানি। যেহেতু আমদানি বন্ধ ছিল, আমরা দেখলাম দাম অনেক বেড়ে গেছে। ফলে আমরা প্রথমে দাম নির্ধারণ করে দিই। কিন্তু তাতে সফল না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করে ডিম ও আলু আমদানির জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি।’

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘গতকাল (১২ নভেম্বর) পর্যন্ত ১০ হাজার ৯৫ মেট্রিক টনের বেশি আলু আমদানি হয়েছে। এছাড়া ডিম আমদানি হয়েছে ৬২ হাজার পিস। কিন্তু ২৫ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য ডিম আমদানি নয়, দাম কমানো।’

আমদানি শুরু হতে দেরি হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ডিম আমদানি করতে হলে এখানে
রপ্তানীকারক দেশের দুটি সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। একটা হচ্ছে, যে চালানটি আসছে সেটি বার্ড ফর্মুলা মুক্ত হতে হবে; অন্যটি যে দেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে, সেটি অ্যাভিয়েন ইনফ্লোয়েঞ্জা কিংবা বার্ড ফর্মুলা হতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন

ডিম-আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে দাম কমাতে

আপডেট সময় : ০৫:৫৯:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন। দেশের জনস্বার্থে ও বাজারে দাম কমাতেই ডিম এবং আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এমন কথা বলেন তিনি।

সচিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায়, গত বছর সয়াবিন তেলের দাম এক পর্যায়ে প্রতি লিটার ২০৫ টাকা হয়ে যায়। সেটি ধাপে ধাপে কমিয়ে সর্বশেষ এক লিটারের বোতলজাত তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করে বিক্রি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারের দাম ওঠানামার সঙ্গে মিল রেখে তেল-চিনির দাম সমন্বয় করা হয়।

আলো ও ডিম সম্পর্কে:

সবসময়ে আলু রপ্তানী করা হতো এবং ডিম আমদানি বন্ধ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাম চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। সেই যোগানের উৎস হলো দেশের উৎপাদন ও আমদানি। যেহেতু আমদানি বন্ধ ছিল, আমরা দেখলাম দাম অনেক বেড়ে গেছে। ফলে আমরা প্রথমে দাম নির্ধারণ করে দিই। কিন্তু তাতে সফল না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করে ডিম ও আলু আমদানির জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি।’

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘গতকাল (১২ নভেম্বর) পর্যন্ত ১০ হাজার ৯৫ মেট্রিক টনের বেশি আলু আমদানি হয়েছে। এছাড়া ডিম আমদানি হয়েছে ৬২ হাজার পিস। কিন্তু ২৫ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য ডিম আমদানি নয়, দাম কমানো।’

আমদানি শুরু হতে দেরি হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ডিম আমদানি করতে হলে এখানে
রপ্তানীকারক দেশের দুটি সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। একটা হচ্ছে, যে চালানটি আসছে সেটি বার্ড ফর্মুলা মুক্ত হতে হবে; অন্যটি যে দেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে, সেটি অ্যাভিয়েন ইনফ্লোয়েঞ্জা কিংবা বার্ড ফর্মুলা হতে হবে।