ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

খন্দকার আল মঈন বলেছেন

অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:৩৩:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩ ৩১ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ফটো

নিউজ ফর জাস্টিস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মিরপুরের কালশী এলাকায় বসুমতি পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

আজ মঙ্গলবার (২১ মঙ্গলবার) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, সোমবার রাতে র‌্যাব-৪ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন, আল মোহাম্মদ চাঁন (২৭), মো. সাগর (২৫), মো. আল আমিন ওরফে রুবেল (২৯) ও মো. খোরশেদ আলম (৩৪)। তারা আগুন দেওয়ার ঘটনা ভিডিও ধারণ করে শীর্ষ নেতাদের কাছে পাঠাতেন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া চারজন বিরোধী একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী। তাদের দলের স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের নির্দেশনায় গ্রেপ্তার আল মোহাম্মদ চাঁন রাজধানীর মিরপুর ও পল্লবীর আশপাশের এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগ করার পরিকল্পনা করেন। পরবর্তী সময় গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় চাঁন ও তার সহযোগী সাগর ও আল আমিন ওরফে রুবেলসহ রাজধানীর মিরপুর-১১, তালতলা নাভানা, কালশী রোড ও সিরামিক রোড এলাকায় সুবিধাজনক স্থানে যানবাহনে আগুন দেওয়ার জন্য রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রেকি করেন।

তিনি বলেন, চাঁন যানবাহনে আগুন দেওয়ার জন্য তার বন্ধুর মোটরসাইকেল থেকে ২৫০ এমএল পরিমাণ পেট্রোল বের করে এনার্জি ড্রিংকের বোতলে ভরে ওইদিন সন্ধ্যায় আল আমিনের কাছে দেন। ওই দিনেই আবার রাত ১১টার দিকে বাসে অগ্নিসংযোগ করার জন্য রাজধানীর কালশী সড়ক রেকি করেন। এ সময় কালশী সড়কে মসজিদের পাশে পার্ক করা বসুমতি পরিবহনের একটি বাস সুবিধাজনক হওয়ায় চাঁনের নির্দেশে সাগর ও আল আমিন বাসের কাছে যান এবং আল আমিন বাসের মাঝের জানালা খুলে পেট্রোল ঢেলে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেন। এরপর ঘটনাস্থল থেকে সাগরের সঙ্গে পালিয়ে যান।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, এ সময় চাঁন রাস্তার আইল্যান্ডের ওপরে দাঁড়িয়ে যানবাহনে অগ্নিসংযোগের নির্দেশনা প্রদান ও ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেন। অন্য কোনো বিরোধীদলের সদস্য যাতে এ ঘটনার ছবি তুলে ও ভিডিও ধারণ করে স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের কাছে প্রেরণ করে কৃতিত্ব নিতে না পারে সেজন্য চাঁন বাসে আগুন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খোরশেদকে ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও ধারণ করে তাৎক্ষণিকভাবে পাঠাতে বলেন। চাঁন ধারণকৃত ভিডিওটি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দলের স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের কাছে প্রেরণ করেন। এ কাজের জন্য চাঁন প্রত্যেকের জন্য ১০ হাজার টাকা করে নিলেও সাগর ও আল আমিনকে ৭ হাজার টাকা করেন।

আরও পড়ুন:  যতদিন চোরাগোপ্তা হামলা, ততদিন গ্রেফতার অভিযান

এম.নাসির/২১

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

খন্দকার আল মঈন বলেছেন

অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজন গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০১:৩৩:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

মিরপুরের কালশী এলাকায় বসুমতি পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

আজ মঙ্গলবার (২১ মঙ্গলবার) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, সোমবার রাতে র‌্যাব-৪ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন, আল মোহাম্মদ চাঁন (২৭), মো. সাগর (২৫), মো. আল আমিন ওরফে রুবেল (২৯) ও মো. খোরশেদ আলম (৩৪)। তারা আগুন দেওয়ার ঘটনা ভিডিও ধারণ করে শীর্ষ নেতাদের কাছে পাঠাতেন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া চারজন বিরোধী একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী। তাদের দলের স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের নির্দেশনায় গ্রেপ্তার আল মোহাম্মদ চাঁন রাজধানীর মিরপুর ও পল্লবীর আশপাশের এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগ করার পরিকল্পনা করেন। পরবর্তী সময় গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় চাঁন ও তার সহযোগী সাগর ও আল আমিন ওরফে রুবেলসহ রাজধানীর মিরপুর-১১, তালতলা নাভানা, কালশী রোড ও সিরামিক রোড এলাকায় সুবিধাজনক স্থানে যানবাহনে আগুন দেওয়ার জন্য রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রেকি করেন।

তিনি বলেন, চাঁন যানবাহনে আগুন দেওয়ার জন্য তার বন্ধুর মোটরসাইকেল থেকে ২৫০ এমএল পরিমাণ পেট্রোল বের করে এনার্জি ড্রিংকের বোতলে ভরে ওইদিন সন্ধ্যায় আল আমিনের কাছে দেন। ওই দিনেই আবার রাত ১১টার দিকে বাসে অগ্নিসংযোগ করার জন্য রাজধানীর কালশী সড়ক রেকি করেন। এ সময় কালশী সড়কে মসজিদের পাশে পার্ক করা বসুমতি পরিবহনের একটি বাস সুবিধাজনক হওয়ায় চাঁনের নির্দেশে সাগর ও আল আমিন বাসের কাছে যান এবং আল আমিন বাসের মাঝের জানালা খুলে পেট্রোল ঢেলে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেন। এরপর ঘটনাস্থল থেকে সাগরের সঙ্গে পালিয়ে যান।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, এ সময় চাঁন রাস্তার আইল্যান্ডের ওপরে দাঁড়িয়ে যানবাহনে অগ্নিসংযোগের নির্দেশনা প্রদান ও ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেন। অন্য কোনো বিরোধীদলের সদস্য যাতে এ ঘটনার ছবি তুলে ও ভিডিও ধারণ করে স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের কাছে প্রেরণ করে কৃতিত্ব নিতে না পারে সেজন্য চাঁন বাসে আগুন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খোরশেদকে ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও ধারণ করে তাৎক্ষণিকভাবে পাঠাতে বলেন। চাঁন ধারণকৃত ভিডিওটি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দলের স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের কাছে প্রেরণ করেন। এ কাজের জন্য চাঁন প্রত্যেকের জন্য ১০ হাজার টাকা করে নিলেও সাগর ও আল আমিনকে ৭ হাজার টাকা করেন।

আরও পড়ুন:  যতদিন চোরাগোপ্তা হামলা, ততদিন গ্রেফতার অভিযান

এম.নাসির/২১